সাতক্ষীরায় সিরিজ বোমা হামলা : রায় বুধবার
সাতক্ষীরা শহরের ছয়টি স্থানে সিরিজ বোমা হামলা মামলার রায় আগামীকাল বুধবার ঘোষণা করবেন আদালত। আজ মঙ্গলবার সাতক্ষীরার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. শরিফুল ইসলাম এ রায়ের তারিখ ঘোষণা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের সরকারি কৌঁসুলি আব্দুল লতিফ এ বিষয়ে এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আজ মামলায় যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে বিচারক এ রায়ের তারিখ নির্ধারণ করেছেন। যুক্তিতর্ক শুনানির সময় আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রত্যাশা করা হয়েছে।’
এ মামলায় ছয়জন আসামি হলেন মনিরুজ্জামান মুন্না, বিল্লাল হোসেন, মো. গিয়াস উদ্দিন, মাহবুবুর রহমান লিটন, শামীম হোসেন গালিব, হাবিবুর রহমান, সাইফুল ইসলাম, মনোয়ার হোসেন উজ্জ্বল, আনিসুর রহমান খোকন ও মিন্টু।
নথি থেকে জানা গেছে, ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) নামে একটি জঙ্গি সংগঠন পরিকল্পিতভাবে দেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে ৬৩টি জেলায় ৫০০টি পয়েন্টে একই সময়ে বোমা হামলা চালায়। এতে দুজন নিহত এবং বিস্ফোরিত বোমার স্প্লিন্টারের আঘাতে অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়।
এদিকে দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলায় দায়েরকৃত ১৫৯টি মামলার মধ্যে ৯৩টির নিষ্পত্তি হয়েছে। এতে ৩৩৪ জনের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়। বাকি ৫৬টি মামলা এখনো বিচারাধীন রয়েছে। এসব মামলায় মোট আসামির সংখ্যা ৪০০ জন। ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট মুন্সীগঞ্জ ছাড়া দেশব্যাপী ৬৩টি জেলায় সংঘটিত এই সিরিজ বোমা হামলায় মোট ১৫৯টি মামলা করা হয়।
১৪৯টি মামলার ১১০৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। অন্য ১০ মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সিরিজ বোমা হামলার ২৭ জন আসামিকে অপর জঙ্গি সংশ্লিষ্ট মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে এসব মামলায় আনা অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ৩৪৯ জন অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
২০০৭ সালের ৩০ মার্চ জেএমবির শীর্ষ নেতা শায়খ আব্দুর রহমান, তাঁর সেকেন্ড ইন কমান্ড সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলা ভাই, সামরিক কমান্ডার আতাউর রহমান সানি, সহযোগী আব্দুল আউয়াল, খালেদ সাইফুল্লাহ ও সালাউদ্দিনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার পর জেএমবির কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়েছিল। পরে ২০১৩ সালে জঙ্গি তামীম চৌধুরী দেশে ফিরে এসে নতুন করে জেএমবিকে সংঘটিত করে। এর নাম দেয় নব্য জেএমবি।
নব্য জেএমবি সদস্যরা দেশের বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালানোর চেষ্টা করে কিন্তু পুলিশ ও বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সফলতার সঙ্গে তাদের দমন করতে সক্ষম হয়।