সাতক্ষীরা সীমান্ত থেকে রিজেন্টের সাহেদ গ্রেপ্তার

বহুল আলোচিত রিজেন্ট হাসপাতাল প্রতারণা মামলার প্রধান আসামি ও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ বুধবার ভোর ৫টা ১০ মিনিটের দিকে তাঁকে সাতক্ষীরা সীমান্ত থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিষয়টি এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক আশিক বিল্লাহ। তিনি বলেন, ‘আজ বুধবার ভোর ৫টা ১০ মিনিটের দিকে র্যাবের বিশেষ অভিযানে সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্ত এলাকা থেকে মো. সাহেদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের সময় তাঁর কাছে অবৈধ বিদেশি পিস্তল ও গুলি পাওয়া গেছে।’
আশিক বিল্লাহ বলেন, ‘আমাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিল, সাহেদ সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। সেই তথ্যের ভিত্তিতে আমরা সাতক্ষীরা সীমান্তে অবস্থান নিই।’

জানতে চাইলে র্যাবের সাতক্ষীরা কোম্পানি কমান্ডার বজলুর রশীদ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর বেইলি ব্রিজের দক্ষিণ পাশের লবঙ্গবতী নদীর পাড় থেকে সাহেদকে গ্রেপ্তার করা হয়। নদীর ধারে একটি নৌকা ছিল। ওই নৌকায় উঠে ভারতে পালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন সাহেদ। ঠিক সে সময় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।’
গ্রেপ্তারের পর সাহেদকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় নিয়ে আসছে র্যাব।
চিকিৎসাসেবা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে গত ৬ জুলাই বিকেল থেকে রাত অবধি উত্তরার রিজেন্ট হাসপাতালের মূল কার্যালয়ে প্রথমে অভিযান পরিচালনা করেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেখান থেকে অভিযান শেষে হাসপাতালটির মিরপুর শাখায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় হাসপাতালটির আট কর্মকর্তা-কর্মচারীকে আটক করা হয়।

এরপর ৭ জুলাই রাজধানীর উত্তরার ১১ নম্বর সেক্টরের কোভিড ডেডিকেটেড রিজেন্ট হাসপাতালটি সিলগালা করে দেয় র্যাব-১। এ ছাড়া উত্তরার ১৪ নম্বর সেক্টরের রিজেন্ট গ্রুপের মূল কার্যালয়ও সিলগালা করা হয়। ৭ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক সাহেদসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করা হয়।
রিজেন্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রতিষ্ঠানটি প্রায় সাড়ে চার হাজার করোনা টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট দিয়েছে। একজন কম্পিউটার অপারেটর বসে বসে সাড়ে চার হাজার রিপোর্ট তৈরি করেছেন। মনগড়া রিপোর্ট পজিটিভ-নেগেটিভ দিয়েছেন।
তা ছাড়া মোট ১০ হাজার রোগীর করোনা টেস্টের নমুনা সংগ্রহ করে রিজেন্ট হাসপাতাল। মাত্র চার হাজার ২৬৪টি নমুনা সরকারিভাবে টেস্ট করে রিপোর্ট দেয়। এ ক্ষেত্রে ভয়াবহ প্রতারণার কৌশল গ্রহণ করে রিজেন্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কারো জ্বর থাকলে তাকে পজিটিভ আর জ্বর না থাকলে নেগেটিভ রিপোর্ট প্রদান করে।