সাত জেলায় নৌযান চলাচল বন্ধ
করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে পরবর্তীতে নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ঢাকার পার্শ্ববর্তী সাত জেলায় যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধি প্রতিরোধে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারিকৃত প্রজ্ঞাপনের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) গতকাল সোমবার রাতে এ সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাত জেলায় (মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, গাজীপুর, মাদারীপুর, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ) যাত্রীবাহী নৌযান (লঞ্চ/স্পিডবোট/ট্রলার/অন্যান্য) চলাচল বন্ধ থাকবে। একই সময় হতে পরবর্তী নির্দেশ না দেবোয়া পর্যন্ত ঢাকা থেকেও সারা দেশে যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে।
পণ্য পরিবহন এবং জরুরি সেবা প্রদানকারী নৌযানের ক্ষেত্রে এ আদেশ কার্যকর হবে না।
অভ্যন্তরীণ নৌপথে চলাচলকারী যাত্রীবাহী নৌযানের মালিক, মাস্টার, ড্রাইভার, স্টাফ, যাত্রী সাধারণ ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা মেনে চলতে বিজ্ঞপ্তিতে অনুরোধ করা হয়েছে। আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এর আগে করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে দেশের সাত জেলায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ৩০ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত এই লকডাউন চলবে।
গতকাল সোমবার বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জরুরি সংবাদ সম্মেলনে সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান। জেলাগুলো হলো- নারায়াণগঞ্জ, গাজীপুর, মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী, মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জ।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, লকডাউন চলাকালে সার্বিক কার্যাবলি (জনসাধারণের চলাচলসহ) সকাল ৬টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। এ সময়ে শুধু আইনশৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিষেবা, যেমন—কৃষি উপকরণ (সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদি), খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহণ, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্য সেবা, কোভিড-১৯ টিকা প্রদান, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস/জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরগুলোর (নদীবন্দর) কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট (সরকারি-বেসরকারি), গণমাধ্যম (প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া), বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ডাক সেবাসহ অন্যান্য জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিস, তাদের কর্মচারী ও যানবাহন এবং পণ্যবাহী ট্রাক/লরি এই নিষেধাজ্ঞার আওতা বহির্ভূত থাকবে।
এই সাত জেলায় কী কী বন্ধ থাকবে—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘সব বন্ধ থাকবে। মানুষও যাতায়াত করতে পারবে না। শুধু মালবাহী ট্রাক ও অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া কিছু চলবে না। জেলাগুলো ব্লকড থাকবে, কেউ ঢুকতে পারবে না।’