সাবেক প্রধান বিচারপতি মাহমুদুল আমীন আর নেই
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2019/12/22/mahamudul-amin.jpg)
বাংলাদেশের সাবেক প্রধান বিচারপতি মাহমুদুল আমীন চৌধুরী আর নেই। (ইন্না লিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন।) তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। আগামীকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। তিনি দুই ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।
সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার সাইফুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, আজ রোববার সন্ধ্যার পর ধানমণ্ডিতে নিজ বাসভবনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেছেন বাংলাদেশের একাদশতম এই প্রধান বিচারপতি। তিনি ২০০১ সালে প্রধান বিচারপতি হন। ২০০২ সালের ১৭ জুন তিনি অবসর গ্রহণ করেন।
এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এম আমিন উদ্দীন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, বিচারপতি মাহমুদুল আমীন একজন সৎ ও ন্যায়পরায়ণ ব্যক্তি ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে জাতি তথা বিচারাঙ্গন একজন অভিভাবককে হারালে।
একনজরে মাহমুদুল আমিন চৌধুরী
বিচারপতি মাহমুদুল আমিন চৌধুরী ১৮ জুন ১৯৩৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম আব্দুল গফুর চৌধুরী; তিনি ছিলেন সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। ১৯৮৭ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত দীর্ঘকাল তিনি বাংলাদেশের উচ্চ আদালতে বিচারকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তার আগে তিনি ১৯৬৩ থেকে ১৯৮৭ পর্যন্ত আইনপেশায় নিযুক্ত ছিলেন।
শিক্ষাজীবন
মাহমুদুল সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় হতে মেট্রিকুলেশন এবং এমসি কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভের পর ঢাকা সিটি ল’কলেজ হতে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন।
কর্মজীবন
১৯৬৩ সালে আইনজীবী হিসেবে সিলেট জেলা বারে যোগ দেওয়া মাহমুদুল আমিন চৌধুরী ১৯৮৭ সালের জানুয়ারিতে হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন এবং ১৯৯৯ সালের জুনে আপিল বিভাগের বিচারপতি নিযুক্ত হন।
২০০১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি লতিফুর রহমানের অবসর গ্রহণের পর মাহমুদুল আমিন চৌধুরী তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন। ২০০১ সালের ১ মার্চ প্রধান বিচারপতি হিসেবে তিনি শপথ গ্রহণ করেন ও ২০০২ সালের ১৭ জুন ৬৫ বছর পূর্ণ হওয়ায় অবসর গ্রহণ করেন।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি), বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ম্যাচ পাতানো ও স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ শুনানির জন্য যে ডিসিপ্লিনারি প্যানেল গঠন করে তার সভাপতি ছিলেন সাবেক প্রধান বিচারপতি মাহমুদুল আমিন চৌধুরী।