সাবেক প্রধান বিচারপতি মাহমুদুল আমীন চৌধুরীর জানাজা সম্পন্ন
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2019/12/23/janaja.jpg)
বাংলাদেশের একাদশ (সাবেক) প্রধান বিচারপতি মাহমুদুল আমীন চৌধুরীর প্রথম জানাজা সুপ্রিম কোর্ট অঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সিলেটের নিজ গ্রামে তাঁকে দাফন করা হবে।
আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় অনুষ্ঠিত জানাজায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. ইমান আলী সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন। একই সঙ্গে সাবেক প্রধান বিচারপতির সম্মানার্থে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে আজ ছুটি ঘোষণা করেন।
জানাজায় আপিল বিভাগ, হাইকোর্টের বিচারপতি, সাবেক বিচারপতি ও আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. ইমান আলী এবং সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
গতকাল রোববার সাবেক প্রধান বিচারপতি মাহমুদুল আমীন চৌধুরী ইন্তেকাল করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। তাঁর এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার সাইফুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, গতকাল সন্ধ্যার পর ধানমণ্ডিতে নিজ বাসভবনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি ইন্তেকাল করেন। তিনি ২০০১ সালে প্রধান বিচারপতি হন। ২০০২ সালের ১৭ জুন তিনি অবসর গ্রহণ করেন।
এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এম আমিন উদ্দীন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘বিচারপতি মাহমুদুল আমীন একজন সৎ ও ন্যায়পরায়ণ ব্যক্তি ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে জাতি তথা বিচার অঙ্গন একজন অভিভাবককে হারালে।’
একনজরে বিচারপতি মাহমুদুল আমীন চৌধুরী
বিচারপতি মাহমুদুল আমীন চৌধুরী ১৯৩৭ সালের ১৮ জুন জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশের একাদশ প্রধান বিচারপতি ছিলেন। ১৯৮৭ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশের উচ্চ আদলতে বিচারকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তার আগে তিনি ১৯৬৩ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত তিনি আইনপেশায় নিযুক্ত ছিলেন।
পারিবারিক পরিচিতি
মাহমুদুল আমীন চৌধুরীর বাবার নাম আবদুল গফুর চৌধুরী। তিনি ছিলেন সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
শিক্ষাজীবন
বিচারপতি মাহমুদুল আমীন চৌধুরী সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিকুলেশন এবং এমসি কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভের পর ঢাকা সিটি ল কলেজ থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন।
কর্মজীবন
১৯৬৩ সালে আইনজীবী হিসেবে সিলেট জেলা বারে যোগ দেওয়া মাহমুদুল চৌধুরী ১৯৮৭ সালের জানুয়ারিতে হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন এবং ১৯৯৯ সালের জুনে আপিল বিভাগের বিচারপতি নিযুক্ত হন।
২০০১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি লতিফুর রহমান অবসর গ্রহণের পর রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের ১১তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে মাহমুদুল আমীন চৌধুরীকে নিয়োগ প্রদান করেন এবং তিনি ২০০১ সালের ১ মার্চ প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন এবং ২০০২ সালের ১৭ জুন ৬৫ বছর পূর্ণ হওয়ায় অবসর গ্রহণ করেন।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ম্যাচ পাতানো ও স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ শুনানির জন্য যে ডিসিপ্লিনারি প্যানেল গঠন করে, তার সভাপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় সাবেক বিচারপতি মাহমুদুল আমীন চৌধুরীকে।