সিজারের পর নবজাতকের কান্না শুনেছেন স্বজনরা, ডাক্তার বললেন ‘ভৌতিক গর্ভধারণ’
পাবনার বেড়া উপজেলার মাসুমদিয়া ইউপির রতনগঞ্জ গ্রামের নজরুল ইসলামের স্ত্রী আকলিমা খাতুন আঁখি। প্রসব বেদনা নিয়ে গত শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাতে শহরের শালগাড়ীয়া শাপলা প্লাস্টিক কারখানা মোড়ের মডার্ন ক্লিনিকে ভর্তি হন। রাত দশটার দিকে গাইনি চিকিৎসক ডা. শাহীন ফেরদৌস শানু ও তাঁর স্বামী ডা. আহমেদ আরিফ পরাগ অপারেশন থিয়েটারে ঢোকেন। অপারেশন শুরুর কিছুক্ষণ পর রোগীর স্বজনদের জানানো হয়, রোগীর পেটে কোনো বাচ্চা নেই। এতেই বিপত্তি বাধায় রোগীর স্বজনরা। তারা বলেন, ‘সিজারের পর তারা সবাই বাচ্চার কান্নার শব্দ শুনছেন। তাদের সন্দেহ অপারেশনের সময় বাচ্চা কোনো দুর্ঘটনা ঘটায় বা মারা যাওয়ায় হাসপাতাল ও সিজারকারী চিকিৎসক বাচ্চা না থাকার কথা বলছেন।’
স্বজনদের অভিযোগ, বাচ্চা না পাওয়ার কথা বলে হুমকি দিয়ে চিকিৎসকরা দ্রুত হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গেছেন। এছাড়া হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সর্বশেষ ২০১৭ সালের রিপোর্ট রেখে সম্প্রতি করা রোগীর সব টেস্ট রিপোর্ট গায়েব করেছেন।
প্রসূতির মা আলেয়া বেগম বলেন, ‘অপারেশনের সময় একবার বাচ্চার কান্নার আওয়াজ শোনা গেছে। হয়তো বাচ্চাটি চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় মারা গেছে। নয়তোবা তারা বাচ্চাটি চুরি করে বিক্রি করে দিয়েছে।’
অভিযুক্ত ডা. শাহীন ফেরদৌস শানু বলেন, ‘এটা ভৌতিক (ফলস প্রেগনেন্সি) গর্ভধারণ। এটা এক ধরনের রোগ এবং মানসিক রোগ। রোগীর চিকিৎসা দরকার।’
মডার্ন ক্লিনিকের পরিচালক সেলিম উদ্দিন বলেন, ‘চিকিৎসক ডা. শাহীন ফেরদৌস শানু হাসপাতালে এসে নিজে কাগজপত্র দেখে অপারেশন করেছেন। কিন্তু গর্ভে কোনো বাচ্চা পাওয়া যায়নি।’
এ বিষয়ে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপাসিন্ধু বালা বলেন, ‘মৌখিক অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে সব কাগজপত্র দেখে ও তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’