সিরাজগঞ্জে কমছে বন্যার পানি, শুরু হয়েছে ভাঙন
চার দফা বন্যার পর সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীতে পানি কমতে শুরু করেছে। পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে নদী তীরবর্তী অঞ্চলে শুরু হয়েছে ভাঙন। ইতোমধ্যে ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে কাজীপুর উপজেলার ঢেকুরিয়া নদীতীর রক্ষা বাঁধের ৫০ মিটার ও নাটুয়াপাড়া ইউনিয়ন রক্ষা বাঁধের ১০০ মিটার বাঁধ। অব্যাহত ভাঙনে চরম ঝুঁকিতে রয়েছে ঐতিহ্যবাহী নাটুয়ারপাড়া হাট, স্কুল-কলেজ। ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পেতে স্থানীয়রা বসতবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন। আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে এলাকার মানুষ।
এদিকে চৌহালী উপজেলার দক্ষিণ দিকে ভাঙনে বাঘুটিয়া ইউনিয়নের চরবিনানই ও ঘুশুরিয়া চরে অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এ ছাড়া এনায়েতপুরে সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়নের পাঁচ গ্রামে ভাঙন দেখা দিয়েছে। হুমকির মুখে পড়েছে চাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই বিদ্যালয়ের একটি টিনশেড ঘর ইতোমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন, এ বছরের বন্যা দীর্ঘস্থায়ী বন্যা। মে মাসের শেষ থেকে যমুনা নদীতে পানি বাড়তে শুরু করে। যমুনা নদীর তীব্র স্রোতে ঘূর্ণাবর্তের সৃষ্টি হয়ে কাজীপুরের ঢেকুরিয়া ও নাটুয়াপাড়ায় বাঁধে ধস নামে। তবে বালুর বস্তা ফেলে তা নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। কাজীপুর উপজেলার পাটাগ্রাম ও শাহজাদপুর উপজেলার ব্রাহ্মণগ্রাম থেকে কৈজুড়ী পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার জায়গা অরক্ষিত রয়েছে। এখানে ভাঙন ছিল। ভাঙন রোধে ১ হাজার ১০০ কোটি টাকার দুটি প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে। প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি অনুমোদন হলে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু হবে।