সিলেটে এবার কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ ছাত্রলীগকর্মীর বিরুদ্ধে
সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় তোলপাড়ের মধ্যে এবার নগরের দাড়িয়াপাড়া এলাকায় এক কিশোরীকে (১৪) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ধর্ষণে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠা তরুণের নাম রাকিবুল হোসেন নিজু (১৮)। তিনি সিলেটের মদন মোহন কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। তিনি নগরীর জিন্দাবাজারে পাঁচ ভাই রেস্টুরেন্টের সামনে তিন প্রবাসীকে মারধর ও ছিনতাই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে মুক্তি পেয়েছিলেন। তিনি কারাবন্দি জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি পিযুষ কান্তি দের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। ছাত্রলীগের মিছিল-মিটিংয়ে নিয়মিত অংশ নেন নিজু।
এদিকে নির্যাতিত কিশোরীকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
কিশোরীর পরিবারের অভিযোগ, গত মঙ্গলবার কিশোরীকে ধর্ষণ করেন রাকিবুল হোসেন নিজু। এরপর মেয়েটির সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে নিজু তাঁকে হুমকি দিয়ে বলেন, এই ঘটনায় কেউ তাঁর কিছুই করতে পারবে না।
এ ব্যাপারে সিলেট সিটি করপোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত কাউন্সিলর বিক্রম কর সম্রাট বলেন, ‘আমিও এ রকম একটি অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটি সম্ভবত দু-তিন দিন আগে ঘটেছে। নিজু দাড়িয়াপাড়া এলাকায় ভাড়া থাকে। আর কিশোরী নগরের আরেকটি এলাকায় থাকে। কিশোরীর পরিবার আর্থিকভাবে তেমন সচ্ছল নয়, তাই দুদিন আগে ঘটনা ঘটলেও সম্ভবত সমঝোতার চেষ্টা করা হয়েছিল। আবার তাদের দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলেও একটি পক্ষ দাবি করেছে।’
বিক্রম কর সম্রাট বলেন, ‘অভিযুক্ত নিজু ছাত্রলীগের মিছিল-মিটিংয়ে যায় বলে শুনেছি। এখন তো সবাই-ই ছাত্রলীগ।’
এমন একটি অভিযোগ পেয়েছেন, তবে মামলা হয়নি বলে জানিয়েছেন সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিম মিঞা।
গত বছরের ৭ আগস্ট নগরীর জিন্দাবাজারের পাঁচ ভাই রেস্টুরেন্টের সামনে তিন প্রবাসীর ওপর হামলা করে পিযুষ গ্রুপের ছাত্রলীগের কর্মীরা। এ মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে গত ২৭ জানুয়ারি নিজুসহ ছয়জন কারাগার থেকে মুক্তি পান। তাঁদের জেলগেটে সংবর্ধনা জানান কাউন্সিলর সম্রাট। তিনি নিজেও পিযুষের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত।
এ মামলাসহ কয়েকটি মামলা থাকায় পিযুষ কান্তি দে গ্রেপ্তার হন। বর্তমানে তিনি কারাবন্দি অবস্থায় হাসপাতালে আছেন।