সিলেটে খালেদা জিয়ার জন্য মঞ্চে খালি চেয়ার
সিলেটে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ নির্ধারিত সময়ের আগেই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্য চেয়ার খালি রেখে শুরু হয়েছে। এটি বিএনপির ৭ম গণসমাবেশ। ইতোপূর্বে সকল সমাবেশমঞ্চে দুটি চেয়ার খালি রাখা হয়েছে।
আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার পর কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে সিলেটের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে সমাবেশ শুরু হয়। দুপুর ২টায় শুরু হওয়ার কথা ছিল বিভাগীয় এই গণসমাবেশ। শুক্রবার রাত থেকেই সমাবেশস্থলে নেতাকর্মীরা অবস্থান নেওয়ায় আগেই সমাবেশ শুরু করা হয়েছে।
সকাল থেকেই খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসছেন নেতাকর্মীরা। বিভিন্ন জেলা থেকে ট্রেনে করে, পায়ে হেঁটে আসছেন তারা। অনানুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে সমাবেশ। সমাবেশস্থলে গিয়ে জানা গেছে, বিকল্প যানবাহন ব্যবহার করে নানা ঝক্কিঝামেলা পেরিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা সিলেটের গণসমাবেশে পৌঁছান। গত তিন দিন ধরেই সমাবেশস্থলে আসতে থাকেন তাঁরা। গতকাল শুক্রবার সমাবেশস্থল লোকারণ্যে পরিণত হয়।
এদিকে, সিলেট জেলায় আজ শনিবার সকাল থেকে চলছে ১২ ঘণ্টার পরিবহণ ধর্মঘট, আর আগে থেকেই সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে শুরু হয় ৩৬ ঘণ্টার বাস ধর্মঘট। ডাক দিয়েছে মালিক সমিতি। এ ছাড়া হবিগঞ্জে গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের পরিবহণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে মোটর মালিক গ্রুপ।
অন্যদিকে, একদিন আগেই সমাবেশের আমেজ শুরু হয় সিলেটে। শুক্রবার সূর্যাস্তের আগেই বিপুল নেতাকর্মীর স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে ওই এলাকা। আগত নেতাকর্মীদের মধ্যে নারীরাও রয়েছেন। বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আবদুল মুক্তাদির বলেন, ‘বিএনপির অনেক নেতাকর্মী আমাদের মুঠোফোনে জানাচ্ছেন, তাঁদের আসার পথে বিভিন্ন স্থানে বাধা দেওয়া হচ্ছে। তবে গাড়ি বদলে বাধাবিপত্তি ঠেলে অনেকে ঠিকই শহরে পৌঁছেছেন।’এরই মধ্যে অন্তত দুই লাখ মানুষ গণসমাবেশে যোগ দিতে সিলেট শহরে এসেছেন বলে তিনি দাবি করেন।
উল্লেখ্য, গত ৮ অক্টোবর চট্টগ্রামে প্রথম গণসমাবেশ করে বিএনপি। এরপর ১৫ অক্টোবর ময়মনসিংহে, ২২ অক্টোবর খুলনায় গণসমাবেশ করে দলটি। গত ২৯ অক্টোবর রংপুরে গণসমাবেশ করে দলটি। পরে ৫ নভেম্বর বরিশালে, এরপর সবশেষ ১২ নভেম্বর ফরিদপুরে গণসমাবেশ করে দলটি।