সিলেটে ধর্ষণ মামলার আসামি সাইফুর অস্ত্র মামলায় রিমান্ডে
সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় চালানো অভিযানে অস্ত্র উদ্ধার মামলায় ছাত্রলীগকর্মী সাইফুর রহমানকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার সিলেটের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২-এর বিচারক সাইফুর রহমান এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (এপিপি) খোকন কুমার দত্ত।
এর আগে এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার প্রধান ও অস্ত্র মামলার একমাত্র আসামি সাইফুর রহমানকে আজ সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আদালতে হাজির করে পুলিশ। তারা আসামি সাইফুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে। শুনানি শেষে বিচারক তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আইনজীবীরা জানান, রিমান্ড শুনানিতে সাইফুরের পক্ষে কোনো আইনজীবী দাঁড়াননি।
ধর্ষণ মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, স্বামীকে নিয়ে ঘুরতে গত ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় এমসি কলেজে গিয়েছিলেন এক গৃহবধূ। এ সময় কলেজ ক্যাম্পাস থেকে পাঁচ থেকে ছয়জন তাঁদের জোরপূর্বক কলেজের ছাত্রাবাসে নিয়ে যান। সেখানে একটি কক্ষে স্বামীকে আটকে রেখে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেন তাঁরা। পরে ওই গৃহবধূকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় পরের দিন ওই গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো তিনজনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলার আসামিরা হলেন সাইফুর রহমান (২৮), শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি (২৫), তারেকুল ইসলাম তারেক (২৮), অর্জুন লস্কর (২৫), রবিউল ইসলাম (২৫) ও মাহফুজুর রহমান মাসুম (২৫)। মামলার অন্য দুই আসামি হচ্ছেন মো. রাজন ও আইন উদ্দিন।
এ ছাড়া ঘটনার দিন ২৫ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে ছাত্রাবাসে সাইফুরের কক্ষ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র, চারটি রামদা, একটি ছোরা ও জিআই পাইপ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন সাইফুরের বিরুদ্ধে শাহপরাণ থানায় অস্ত্র আইনে মামলা করা হয়।
সাইফুর রহমান সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার চান্দাইপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। গত ২৭ সেপ্টেম্বর সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন ধর্ষণ মামলায় তাঁকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।