সুজানগরের ১০ ইউনিয়নে নৌকার প্রতিদ্বন্দ্বী আ.লীগ!
আসন্ন দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনে পাবনার সুজানগর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে ৩৬ জন প্রার্থী লড়াই করছেন। এদের মধ্যে নৌকার প্রতীকের প্রার্থী ১০ জন ছাড়াও ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের চারজন, জাতীয় পার্টির একজন এবং জাকের পার্টির একজন রয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে ১৯ জনই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী বলে জানা গেছে।
সুজানগর উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, ভায়না ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের আমিন উদ্দিন ছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য ওমর ফারুক।
সাতবাড়িয়া ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক নিয়ে এসএম শামসুল আলম ছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হোসেন।
মানিকহাট ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শফিউল ইসলামের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্বাস আলী মল্লিক।
হাটখালী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী আব্দুর রউফ ছাড়াও উপজেলা কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফিরোজ আহমেদ খান ও সুজানগর উপজেলা আ. লীগের সদস্য আনছার আলী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন।
নাজিরগঞ্জ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মশিউর রহমান খান ছাড়াও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মো. আব্দুস সাত্তার ও স্বতন্ত্র হিসেবে ওয়ার্ড আ.লীগের সভাপতি টিপু আলী মুন্সি ও স্থানীয় আ.লীগ নেতা নূর মোহাম্মদ নির্বাচন করছেন।
তাঁতিবন্দ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুল মতীন মৃধা ছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে স্থানীয় আ.লীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাক খান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রউফ নির্বাচন করছেন।
সাগরকান্দি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাহিন চৌধুরী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. জাকের হোসেন ছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ইউনিয়ন আ.লীগের সহসভাপতি তৈয়ব আলী শেখ নির্বাচন করছেন।
রানীনগর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জিএম তৌফিকুল আলম পিযুষ, জাকের পার্টির মকবুল হোসেন শেখ, জাতীয় পার্টির আবু তালেব সরদার, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সৈয়দ আলী বিশ্বাস এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক টুটুল কাজী নির্বাচন করছেন।
দুলাই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সিরাজুল ইসলাম শাহজাহান, জাতীয় পার্টির গোলাম মোর্শেদ ছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুর রহমান সাইদ নির্বাচন করছেন। শাজাহান ও সাইদ চাচা ভাতিজা।
আহমেদপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কামাল হোসেন মিয়া ছাড়াও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী আব্দুল বাছেদ শেখ, স্বতন্ত্র প্রার্থী স্থানীয় যুবলীগ নেতা মাহবুবুর রহমান হিরা নির্বাচন করছেন। কামাল ও হীরা চাচা ভাতিজা।
এ ব্যাপারে সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিনুজ্জামান শাহিন বলেন, ‘নৌকার বিরুদ্ধে যেসব আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী কাজ করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’