সেনাবাহিনী সিনহার মৃত্যুর দৃষ্টান্তমূলক বিচার চায় : সেনাপ্রধান
সেনাবাহিনীপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের মৃত্যুকে জঘন্যতম ঘটনা উল্লেখ করে বলেছেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এই হত্যার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চায়।
আজ বুধবার সকালে চট্টগ্রামের ভাটিয়ারীতে ২৪ পদাতিক ডিভিশনের ছয়টি ইউনিটের রেজিমেন্টাল কালার প্রদান অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন সেনাপ্রধান।
সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ চট্টগ্রাম সেনানিবাসের ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট সেন্টার প্যারেড গ্রাউন্ডে পৌঁছালে ২৪ পদাতিক ডিভিশন ও চট্টগ্রামের এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল এস এম মতিউর রহমান তাঁকে স্বাগত জানান। পরে প্যারেড কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি চৌকস দল কুচকাওয়াজ প্রদর্শনসহ সেনাপ্রধানকে সালাম প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর ছয়টি সিগন্যাল ব্যাটালিয়ন, ১৮, ২০, ২১, ২২ ও ২৩ বীর কালার প্যারেডে অংশগ্রহণ করে প্রধান অতিথির কাছ থেকে রেজিমেন্টাল পতাকা গ্রহণ করেন।
এ সময় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সেনাপ্রধান বলেন, সবাইকে ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের প্রতি আস্থা, পারস্পরিক বিশ্বাস, সহমর্মিতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ বজায় রেখে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সুশৃঙ্খল, দক্ষ ও যোগ্য সেনাসদস্য হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে। সেইসঙ্গে তিনি সবাইকে পেশাদারিত্বের প্রত্যাশিত মান অর্জনের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক যেকোনো হুমকি মোকাবিলায় সদা প্রস্তুত থাকারও নির্দেশ দেন।
পরে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন জেনারেল আজিজ আহমেদ। এ সময় তিনি সম্প্রতি কক্সবাজারে পুলিশের গুলিতে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের মৃত্যুকে ‘জঘন্যতম ঘটনা’ উল্লেখ করে এর দৃষ্টান্তমূলক বিচার চান।
সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, ‘সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সরকারের কাছে কোনো সুপারিশ দেওয়ার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। কারণ, এ ঘটনার পরপর সরকারের পক্ষ থেকে একটি যৌথ তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। এই তদন্ত টিমের প্রতি সেনাবাহিনী এবং আমি নিশ্চিত, পুলিশ বাহিনীরও এ ব্যাপারে সমর্থন রয়েছে। এই তদন্ত দল যেটা উপযুক্ত মনে করবে, সেটা সুপারিশ করবে। এখানে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো সুপারিশ করার সুযোগ আছে বলে আমি মনে করি না।’
তদন্তে সন্তুষ্ট কিনা জানতে চাইলে সেনাপ্রধান বলেন, ‘কারণ যে ঘটনা ঘটেছে, এটা সবাই জানে। অত্যন্ত জঘন্যতম একটা ঘটনা ঘটেছে। সেটার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হতে হবে। এটা তদন্তে বের হয়ে আসবে। সাজাটা যখন হবে, তাহলেই সন্তুষ্টির প্রশ্ন আসবে। তার আগে সন্তুষ্টি কীভাবে আসবে? বলার কোনো সুযোগ নেই।’