হজ নিয়ে প্রতারণা করলে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা, লাইসেন্স বাতিল
হজ ও ওমরাহ নিয়ে প্রতারণা রোধে কঠোর বিধান যুক্ত করে ‘হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২০’ নামে সরকার একটি নতুন আইন করতে যাচ্ছে। প্রস্তাবিত আইনে অনিয়মের জন্য হজ এজেন্সির নিবন্ধন বাতিল ও সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করা হবে। ওমরাহ এজেন্সির ক্ষেত্রে নিবন্ধন বাতিল ও ১৫ লাখ টাকা জরিমানা করা যাবে।
আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে নতুন এ আইনের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভা শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
নতুন আইনের বিভিন্ন ধারা উল্লেখ করে সচিব বলেন, প্রতি বছর হজ ও ওমরাহ নিয়ে প্রতারণা হয়। সৌদি আরবে গিয়েও অনেক হজ ও ওমরাহ যাত্রী হয়রানির শিকার হন। এসব অপরাধের বিচারও বাংলাদেশের ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে এবং প্রচলিত আইন অনুযায়ী বিচার হবে।
ড. খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে একটি নীতিমালা দিয়ে হজ ও ওমরাহ কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। ২০১১ সালে সৌদি আরব হজ ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন এনেছে। পাকিস্তান, মালয়েশিয়া, ভারত ও ইন্দোনেশিয়াও এখন আইন করে ফেলেছে। হজ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে তাল মেলাতে হলে আমাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে একটি লিগ্যাল কাঠামো প্রয়োজন।
সচিব বলেন, সরকার হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে সৌদি সরকারের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি, সমঝোতা ও সম্মতিক্রমে সৌদি আরবের যেকোনো স্থানে হজ অফিস স্থাপন ও প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করতে পারবে। এই আইনের অধীনে নিবন্ধন ছাড়া কেউ কোনো হজযাত্রীর সঙ্গে লেনদেন করতে পারবে না।
‘নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ যদি দেখে কেউ অনিয়ম করছে তবে উপযুক্ত তদন্ত ও শুনানি করে হজ ও ওমরাহ এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে। সরকার দৈব-দুর্বিপাক, মৃত্যু, দুর্ঘটনা, হজযাত্রীদের আকস্মিক প্রয়োজন পূরণ ও অপ্রত্যাশিত ব্যয় নির্বাহের জন্য একটি আপদকালীন তহবিল গঠন করবে।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কোনো ধরনের অপরাধের জন্য কোনো হজ এজেন্সিকে যদি পরপর দুই বছর সতর্ক করা হয় তাহলে লাইসেন্স দুই বছরের জন্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল থাকবে।
সচিব বলেন, আজকের মন্ত্রিসভায় এ ছাড়াও মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ-২০২০ নামে একটি নতুন আইনের খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ আইনের ফলে মোংলা কর্তৃপক্ষ বন্দর ব্যবস্থাপনায় নতুন ক্ষমতা পেল।