হবিগঞ্জের ভাটি অঞ্চল প্লাবিত
হবিগঞ্জের ভাটি এলাকাও প্লাবিত হয়েছে। আজমিরীগঞ্জ ও নবীগঞ্জের প্রায় অর্ধশত গ্রামের মানুষ এখন পানিবন্দি। দেখা দিয়েছে শুকনো খাবারের সংকট। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সোচ্চার রয়েছে জেলা প্রশাসন। বিতরণের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে খাবারের প্যাকেট।
গত শুক্রবার ভোররাত থেকে হবিগঞ্জে মুশলধারে বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে কালনি-কুশিয়ারাসহ জেলার প্রধান প্রধান নদ-নদীর পানি দ্রুত বাড়তে থাকে। বিকেলের দিকে হাওরে ডুকতে থাকে পানি। সঙ্গে প্লাবিত হয় নিচু এলাকা। এ সময় আজমিরীগঞ্জ-পাহাড়পুর ও আজমিরীগঞ্জ-কাকাইলছেও’র সড়ক ডুবে যায়।
টানা বৃষ্টিতে শনিবার সকালে পাহাড়পুর-মারকুলি সড়কের নিখলির ঢালা এবং ফিরোজপুর-বদলপুর সড়কের কৈয়ার ঢালায় কুশিয়ারা নদীর বাঁধ ভেঙে যায়। এতে লোকালয়ে পানি ডুকে প্লাবিত হতে থাকে একের পর এক গ্রাম। প্লাবিত হতে শুরু করে ভাটি এলাকাও।
গত তিনদিনে পানিবন্দি মানুষ দুর্ভোগের শিকার হন। শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে পড়েন তাঁরা।
হবিগঞ্জে জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, এ পরিস্থিতিতে ৩০ হাজার শুকনো খাবার প্যাকেট তৈরি করেছে তারা। এগুলো পানিবন্দি মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হবে।
এ ছাড়া, সুনামগঞ্জ ও সিলেটের বন্যাদুর্গতদের জন্য ১০ হাজার শুকনো খাবার প্যাকেট পাঠিয়েছে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসন।