হাইকোর্টের রায় : চিপসের প্যাকেটে খেলনা দেওয়া বন্ধ করতে হবে
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2020/01/09/high-court-6.jpg)
চিপসের প্যাকেটে খেলনার ব্যবহার বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে খেলনাসহ চিপস যেন বাজারজাত করতে না পেরে সে জন্য নিয়মিত বাজার তদারকি করতে বিএসটিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এ ছাড়া চিপসের প্যাকেটের ভেতরে খেলনা দিয়ে শিশুখাদ্য বাজারজাত করা হলে জড়িত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইন অনুসারে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ সংক্রান্ত এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে আজ রোববার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল নিষ্পত্তি করে পর্যবেক্ষণসহ ওই নির্দেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে আবেদনকারী মনিরুজ্জামান নিজে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল তৌফিক সাজাওয়ার।
এ বিষয়ে আইনজীবী মনিরুজ্জামান লিংকন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘চিপসের প্যাকেটে খেলনা ব্যবহার বন্ধ করতে হাইকোর্ট রায় দিয়েছেন। এ জন্য শিশুখাদ্যের ওপর নিয়মিত বাজার তদারক করতে বিএসটিআই এবং ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্যাকেটের ভেতরে খেলনা দিয়ে শিশুখাদ্য বাজারজাত করা হলে জড়িত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইন অনুসারে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘চিপস প্যাকেটের ভেতরে শিশু খেলনা না দিতে নির্দেশনা চেয়ে ২০১৯ সালের ৪ নভেম্বর হাইকোর্টে রিট করি। রিট আবেদনে বলেছি চিপসের প্যাকেটের ভেতরে খেলনা দিয়ে বাজারজাতকরণের ফলে শিশুদের চিপস খাওয়ার সময় অবচেতনভাবে খেলনা পেটে ঢুকে যেতে পারে। প্রতিবেশী দেশে এমন ঘটনায় দুটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর এসেছে। দেশের শিশুদের ক্ষেত্রেও এমন ঘটনা ঘটতে পারে, সে শঙ্কা থেকে শিশুদের মৌলিক ও জীবন রক্ষার অধিকার নিশ্চিতের দিক বিবেচনায় রিটটি করা হয়।’
রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে ২০১৯ সালের ২৪ নভেম্বর হাইকোর্ট রুল দেন। এ ছাড়া প্যাকেটের ভেতর খেলনা দিয়ে চিপসের বাজারজাতকরণ বিষয়ে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনকে (বিএসটিআই) প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন।
আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, বিএসটিআই প্রতিবেদনে বলা হয়, সব প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত চিপস পণ্যের প্যাকেটে বা মোড়কের ভেতর কোনো খেলনা ব্যবহার করা হচ্ছে না। বিএসটিআইয়ের সার্ভিল্যান্স টিমের মাধ্যমে বাজার তদারকি কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এ ছাড়া জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ জানিয়ে প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়।