হাজরাবাড়ী পৌরসভার প্রথম মেয়র সুরুজ, ২ ইউপিতেও আ.লীগ জয়ী
জামালপুরের মেলান্দহে হাজরাবাড়ী পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র এবং আদ্রা ও ফুলকোচা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। হাজরাবাড়ী পৌরসভা গঠনের পর প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের সামসুজ্জামান সুরুজ বিজয়ী হয়েছেন।
এ ছাড়া আদ্রা ইউনিয়নে মো. রফিকুল ইসলাম খোকা ও ফুলকোচা ইউনিয়নে মামুনুর রশীদ চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন।
আজ বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিরতিহীনভাবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ হয়। হাজরাবাড়ী পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সামসুজ্জামান সুরুজ (নৌকা) প্রতীক নিয়ে চার হাজার ৩৫৬ ভোট পেয়ে মেয়র পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র মেয়র পদপ্রার্থী মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু (জগ) প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন দুই হাজার ৮৪৯ ভোট, আরেক স্বতন্ত্র মেয়র পদপ্রার্থী মো. মাসুদুল হাসান হাজারী (নারিকেলগাছ) প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন দুই হাজার ৬৯১ ভোট।
অপরদিকে, মেলান্দহ উপজেলার আদ্রা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগদলীয় প্রার্থী মো. রফিকুল ইসলাম খোকা (নৌকা) প্রতীক নিয়ে সাত হাজার ৭৭৪ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী রকিবুল ইসলাম (মোটরসাইকেল) প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন তিন হাজার ৬৫৫ ভোট। আর ফুলকোঁচা ইউনিয়ন পরিষদে আওয়ামী লীগের মো. মামুনুর রশীদ (নৌকা) প্রতীক নিয়ে পাঁচ হাজার নয় ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. কামাল উদ্দিন (আনারস) প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন এক হাজার ৯৬৮ ভোট। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা নির্বাচনের ফলাফল নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর পৌরসভা গঠিত হওয়ার পর প্রথমবার অনুষ্ঠিত হওয়া হাজরাবাড়ী পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে চারজন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৯ জন, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এদিকে মেলান্দহ উপজেলার আদ্রা ও ফুলকোচা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আটজন, সাধারণ সদস্য পদে ৭০ জন ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ২৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ করা হয়, সব ভোটকেন্দ্রই সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়। নির্বাচনের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, আনসার সদস্যসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেন।