মহিষ পাচারের অভিযোগে করা মামলায় ১২ বছর বয়সী চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রের বয়স ১৯ দেখিয়ে মামলা করায় সিলেটের জৈন্তাপুর বিজিবি ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার মো. সাহাব উদ্দিন হাইকোর্টে সশরীরে হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন। আদালতের তলবের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে সশরীরে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে নিঃশর্ত ক্ষমা চান তিনি।

সকালে বিজিবি কর্মকর্তা সাহাব উদ্দিন আদালতে হাজির হয়ে ক্ষমা প্রার্থনার পর শিশুটিকে মামলার হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

এর আগে গত ২০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের একই বেঞ্চ সাহাব উদ্দিনকে তলব করে আদেশ দেন। ৭ অক্টোবর তাঁকে সশরীরে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে আদেশে বলা হয়েছিল।

একই সঙ্গে ওই শিশুসহ মামলার ১৭ আসামির মধ্যে ১০ জনকে জামিন দেন আদালত। তাঁরা হলেন সামছুল হক, শফিক মিয়া, সমিরুন নেছা, আবিদুল ইসলাম ওরফে আবদুল, সাইদুল ইসলাম, শায়না বেগম, রুনা বেগম, সিদ্দিক মিয়া, ফয়জুর রহমান ওরফে কুটই ও নাহিদ।

ওই দিন আসামিপক্ষে জামিন আবেদনকারী আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. জাহাঙ্গীর হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।

চতুর্থ শ্রেণির ওই শিক্ষার্থী আবিদুল ইসলাম ওরফে আবদুল জানায়, সে বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক পরিচালিত শিখন স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র।

জানা গেছে, জৈন্তাপুরের খিলাতৈল এলাকার ব্যবসায়ী সাইদুল বেপারী বৈধভাবেই ২০টি মহিষ কিনে বাড়ি আনেন। কিন্তু বিজিবি সদস্যরা গত ১৩ সেপ্টেম্বর মহিষগুলো আটক করে নিয়ে যান। এরপর বিজিবির নায়েব সুবেদার সাহাব উদ্দিন জৈন্তাপুর থানায় মামলা করেন।

মামলায় শিশু আবিদুল, তার বাবা শফিক মিয়া, ভাই শামসুল হক, ভাবি রুনা বেগম, বোন শায়না বেগমসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরো আট-দশজনকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়।

মামলায় বলা হয়, আসামিরা ১৫টি মহিষ ছিনিয়ে নেয়। আসামিরা তাদের কাজে বাধা দান করে। এ অবস্থায় আবিদুলসহ ১০ জন হাইকোর্টে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করে। এরপর তাদের জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেওয়া হয়।