১৫ জুলাই পর্যন্ত রাজস্ব কর্মকর্তাদের ছুটি না নিতে নির্দেশ
আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআরের কর্মকর্তাদের অপ্রয়োজনীয় ছুটি না দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
বলা হয়েছে, আসন্ন ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট প্রণয়ন ও বাস্তবায়নকে সামনে রেখে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। রাজস্ব কর্মকর্তাদের বাজেট সম্পর্কিত কাজ দ্রুত ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে একগুচ্ছ নির্দেশনা দিয়েছে এনবিআর।
এদিকে, আগামী ৯ জুন বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল। প্রস্তাবিত বাজেটকে সামনে রেখে মাঠ পর্যায়ের সব কমিশনারেট ও বিভাগীয় দপ্তর এবং সার্কেল দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গত ২ জুন এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে যায়।
নির্দেশনাগুলো হলো—
১. মূল্য সংযোজন কর (মূসক) কর্মকর্তাদের বাজেট ঘোষণার আগের দিন ৮ জুন কমিশনারেটের আওতাধীন সম্পূরক শুল্ক আরোপযোগ্য (সম্ভাব্য) সব করদাতা, পণ্য সরবরাহকারীর প্রাঙ্গণ পরিদর্শন ও পণ্যের সমাপনী স্থিতি বিষয়ে সংশ্লিষ্ট রেজিস্টারে প্রত্যয়ন ও সই করবেন।
২. বাজেট পেশকালে বাজেটের বিভিন্ন প্রস্তাবনা বাজেট সংক্রান্ত দলিলপ্রাপ্তির আগেই বাজেটে গৃহীত কার্যক্রম বাস্তবায়নের উদ্দেশে ত্বরিত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সদর দপ্তর, সব বিভাগ ও সার্কেলের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের স্ব-স্ব নির্ধারিত পোশাক পরিহিত অবস্থায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিজ নিজ দফতরে উপস্থিত থাকতে হবে।
৩. বাজেট পেশকালে অর্থমন্ত্রীর ঘোষণা অনুসরণ করে যেসব পণ্য বা সেবার ক্ষেত্রে মূসক, সম্পূরক শুল্ক ও আবগারি শুল্ক নতুনভাবে আরোপ, অথবা সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব করা হবে, সেসব পণ্য উৎপাদনকারী বা সেবা প্রতিষ্ঠান শনাক্তকরণপূর্বক তাদের সরবরাহযোগ্য ও খালাসযোগ্য পণ্য বা সেবার প্রকৃত মজুদে হিসাব নিতে হবে।
৪. রাজস্ব ফাঁকির কোনো আশঙ্কা থাকলে সুনির্দিষ্ট পণ্যাগারকে সীলমোহরকৃত অবস্থায় রাখার ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। তবে, পরবর্তী সময়ে কর্মদিবসের মধ্যেই মজুত গণনা সম্পন্ন নিশ্চিত করতে হবে।
৫. বাজেট পেশের দিন কোনো পণ্য খালাস করা হলে বাজেটে প্রস্তাবিত হারে সম্পূরক শুল্ক ও মূসক প্রদেয় হবে।
৬. কমিশনারেটের অধীন সব দফতরের বাজেট সংক্রান্ত দলিলাদি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে সংগ্রহ করতে হবে। অতঃপর ওই দলিলাদি বিভাগীয় দফতর ও সার্কেল দপ্তরগুলোর মধ্যে বিতরণ করতে হবে। কমিশনারেট, বিভাগীয় দফতর ও সার্কেল দফতরে যানবাহনগুলো সচল রাখা ও চালকদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।
৭. বাজেটের বিভিন্ন প্রস্তাবনা ও তা বাস্তবায়নের কর্মসূচি নির্ধারণের জন্য ১০ জুন সকাল সাড়ে ৯টায় সকল সদর দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করতে হবে।
৮.বাজেট দলিলাদি পর্যালোচনা করে এ বিষয়ে কোনো মতামত ও পরামর্শ থাকলে, তা লিখিতভাবে আগামী ১৬ জুনের মধ্যে অবশ্যই জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে পাঠাতে হবে।
৯. বাজেট পেশের আগে ও অব্যাবহিত পরে সরকারের ঘোষিত রাজস্ব নীতি বাস্তবায়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং, এখন থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত কোনও কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে অত্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত কোনো প্রকার ছুটি গ্রহণ বা প্রদান বা কর্মস্থল ত্যাগের অনুমতি না দেওয়ার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।