১৮ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব ঘাটতি নিয়ে চলছে হিলি বন্দর
১৮ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব ঘাটতি নিয়ে চলছে হিলি স্থলবন্দর। দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার এ বন্দরে চলতি অর্থবছরের (২০২১-২২) গেল আট মাসে শুল্ক আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২৯৬ কোটি ৪১ লাখ টাকা। এর মধ্যে আদায় হয়েছে ২৭৭ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। ফলে বিপুল রাজস্ব ঘাটতিতে পড়েছে বন্দরটি।
হিলি স্থলবন্দরের স্থলশুল্ক স্টেশন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থ বছরের আট মাসে রাজস্ব ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকা।
আরও জানা গেছে, গত ২০২০-২১ অর্থবছরে হিলি স্থলবন্দরে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার বাড়তি ৮৭ কোটি টাকা রাজস্ব আয় হয়েছিল। যে কারণে চলতি অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা কিছুটা বাড়িয়ে ৪৫৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা নির্ধারণ করে দেয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই মাসে হিলি স্থলবন্দর থেকে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৬ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। এর বিপরীতে আদায় হয় ৩৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। আগস্ট মাসে ৪৩ কোটি ৯৬ লাখ টাকার বিপরীতে আদায় হয়েছে ২৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। সেপ্টেম্বরে ৩৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকার লক্ষ্যমাত্রার নির্ধারণ করা হলেও আদায় হয় ৩৫ কোটি ১৯ লাখ টাকা। অক্টোবরে ৩৯ কোটি দুই লাখ টাকার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় হয়েছে ৩৪ কোটি ৩১ লাখ টাকা। নভেম্বরে ৪০ কোটি ৩২ লাখ টাকার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় হয়েছে ৩২ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। ডিসেম্বরে ৩০ কোটি ২৪ লাখ টাকার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় হয়েছে ৩২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। জানুয়ারি মাসে ৩৪ কোটি ১২ লাখ টাকার বিপরীতে আদায় হয়েছে ৪৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। আর ফেব্রুয়ারি মাসে ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকার বিপরীতে আদায় হয়েছে ৩৯ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।
এদিকে হিলি স্থলশুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা (সুপারিনটেনডেন্ট) এস এম নুরুল আলম জানান, চলতি অর্থবছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড অনেক বেশি রাজস্ব আদায়ে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দিয়েছে। এ কারণে গত আট মাসে হিলি স্থলবন্দর থেকে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকা কম রাজস্ব আদায় হয়েছে। এ সময় বন্দর থেকে ২৭৭ কোটি ৪৮ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। শুধু ফেব্রুয়ারি মাসে ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকার বিপরীতে ৩৯ কোটি ৩৭ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় চার কোটি ৯০ লাখ টাকা বেশি।
এস এম নুরুল আলম আরও জানান, রাজস্ব আদায় নির্ভর করে বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানির ওপর। যখন পণ্য আমদানি বাড়ে তখন রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ বাড়ে। আবার পণ্য আমদানি কমলে রাজস্ব কমে। গত মাসে ১৪ দিন এই বন্দর দিয়ে চিপস পাথর আমদানি বন্ধ ছিল। এতে রাজস্ব আদায়ে ব্যাঘাত হয়েছে।