৪২ বিশিষ্ট নাগরিকের অভিযোগ ভিত্তিহীন : সিইসি
নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে দেশের বিশিষ্ট নাগরিকরা গুরুতর অসদাচরণের যে সব অভিযোগ তুলেছেন সেগুলোকে ভিত্তিহীন, অসত্য ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে নির্বাচন ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন তিনি।
সিইসি বলেন, নির্বাচন কমশনকে দায়ী করে যে বক্তব্য দেওয়া হয়েছে, তা অনভিপ্রেত। তবে সংবাদ সম্মেলনে কোনো প্রশ্নের উত্তর দেননি সিইসি।
নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থসংশ্লিষ্ট গুরুতর অসদাচরণের অভিযোগ এনে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করে তা তদন্ত করতে গত ১৪ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করেন দেশের ৪২ জন বিশিষ্ট নাগরিক। বিষয়টি সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য স্পষ্ট করতেই এই সংবাদ সম্মেলন।
এ সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিশিষ্ট নাগরিকদের ওই অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবি করে কে এম নূরুল হুদা বলেন, প্রশিক্ষণ ব্যয়ে আর্থিক অনিয়ম ও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি কিংবা বিলাসবহুল গাড়ি ব্যবহারের অভিযোগ ভিত্তিহীন।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচন প্রক্রিয়াকে গতিশীল করতেই ইভিএম ব্যবহার করা হচ্ছে। ইভিএম কেনার সঙ্গে সরাসরি নির্বাচন কমিশন যুক্ত নয়। তাই বিবৃতিতে এ বিষয়ে যে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে তাও অসত্য বলে দাবি করেন তিনি।
নির্বাচনের প্রতি জনগণের আস্থা চলে গেছে এমন অভিযোগও ভিত্তিহীন উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে সিইসি বলেন, তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দেশে সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছাড়াও নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, শাহাদত হোসেন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। তবে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার উপস্থিত ছিলেন না।
সংবাদ সম্মেলনে সিইসির লিখিত বক্তব্যের কপি নিচে যুক্ত করা হলো :