কুড়িগ্রামে দুই আ. লীগ নেতার লড়াই, পাল্টাপাল্টি অভিযোগ
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2016/12/25/photo-1482685184.jpg)
কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও একই কমিটির সহসভাপতি। উভয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করছেন।
নির্বাচনে আনারস প্রতীক নিয়ে লড়ছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কুড়িগ্রাম-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. জাফর আলী। অন্যদিকে কাপ-পিরিচ প্রতীক নিয়ে লড়ছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান পনির উদ্দিন আহমেদ।
পনির উদ্দিন আহমেদ অভিযোগ করেছেন, জাফর আলী কেন্দ্রীয় কমিটির সমর্থন পেয়েছেন আর এ কারণে নির্বাচনে দলীয় প্রভাব বিস্তার করছেন। তিনি নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করতে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন।
অন্যদিকে জাফর আলী অভিযোগ করেছেন, পরাজয় নিশ্চিত জেনেই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন পনির উদ্দিন।
নয়টি উপজেলার ৭৩টি ইউনিয়ন ও তিনটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদ নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা এক হাজার ১২ জন। এর মধ্যে নারী ভোটারের সংখ্যা ২৩৬ জন ও পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৭৭৬ জন।
নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দুজন, সাধারণ সদস্য পদে ৬৭ জন ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ২৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, আগামী ২৮ ডিসেম্বর নয় উপজেলায় মোট ১৫টি ভোটকেন্দ্রে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে একজন চেয়ারম্যান, ১৫ জন সাধারণ সদস্য ও পাঁচজন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য নির্বাচিত হবেন।
নির্বাচনে জয়লাভ করতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। নির্বাচনে বিএনপি ও জাতীয় পার্টির ভোটাররা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা। চেয়ারম্যান পদে উভয়ই আওয়ামী লীগ নেতা হওয়ায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত ভোটারদের ভোট পাওয়ার দাবি করছেন দুজনই। তবে বিএনপি ও জাতীয় পার্টির সমর্থিত প্রায় চার শতাধিক ভোটারের সমর্থন যিনি পাবেন, তাঁরই নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানা যায়।
জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী পনির উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘জেলা পরিষদ নির্বাচন দলীয়ভাবে না হলেও দলের প্রভাব খাটিয়ে নির্বাচনের শুরু থেকেই গাড়ি ভাঙচুর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা, সমর্থকদের মারধর, বাড়ি-ঘর ভাঙচুর, নির্বাচনী পোস্টার ছেঁড়াসহ নানা রকম হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছেন জাফর আলীর সমর্থকরা। জাফর আলী নিজের পরাজয় নিশ্চিত জেনে তাঁর সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে হুমকি-ধমকি ও হামলার ঘটনা ঘটাচ্ছেন। তবে ভোট সুষ্ঠু হলে জেলা পরিষদ নির্বাচনে আমি শতভাগ জয়লাভ করার আশা করছি।’
অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. জাফর আলী বলেন, ‘পনির উদ্দিন আহমেদ নিজের পরাজয় নিশ্চিত জেনে আমার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলছেন, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও সাজানো। বরং তিনি জাতীয় পার্টির স্থানীয় সংসদ সদস্যদের দিয়ে নির্বাচন প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন।’
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’