এমপি থাকলেন এলাকায়, জয় পেলেন স্ত্রী!

জেলা পরিষদ নির্বাচনে পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া-রাঙ্গাবালী আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) মাহবুবুর রহমান তালুকদারের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আজ বুধবার পটুয়াখালী জেলা পরিষদ নির্বাচনে সংরক্ষিত সদস্য পদে সাংসদের স্ত্রী প্রীতি হায়দার (ফুটবল) জয় পেয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে, তাঁর পক্ষে কাজ করতে ভোটগ্রহণের সময় এলাকায় অবস্থান করেন সাংসদ মাহবুবুর রহমান এবং স্ত্রীকে জেতাতে প্রভাব বিস্তার করেছেন।
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর অভিযোগ, নির্বাচনের দিন রাঙ্গাবালী উপজেলায় অবস্থান করেন সাংসদ।
নির্বাচনে জেলায় দুই নারী সদস্য পদপ্রার্থী কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালী উপজেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। প্রীতি হায়দার ছাড়া অন্যজন হলেন কলাপাড়া উপজেলার লাইজু হেলেন লাকি (ঘড়ি)।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ সকাল থেকে রাঙ্গাবালীর বাহেরচরে অবস্থান করেছেন সাংসদ মাহবুব। এমন খবর পেয়ে তাঁর কাছে যান সাংবাদিকরা। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সাংসদ রাঙ্গাবালী উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় সাংবাদিকরা তাঁর ছবি তুলতে চাইলে তিনি বাধা দেন। পরে মোটরসাইকেলে করে এলাকা ত্যাগ করেন।
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সাংসদ মাহবুবুর রহমান তালুকদার বলেন, ‘ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর আমি এখানে এসেছি। এতে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের কিছুই নেই।’ ভোট গণনা পর্যন্ত রাঙ্গাবালী উপজেলা পরিষদের ডরমেটরিতে তিনি অবস্থান করছিলেন।
এর আগে সাংবাদিকদের কাছে ঘড়ি মার্কার প্রার্থী লাইজু হেলেন লাকি একাধিকবার অভিযোগ করেন, ‘সাংসদ মাহবুব কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালী অবস্থান করে প্রীতি হায়দারের পক্ষে ভোটারদের নানাভাবে প্রলোভন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। তিনি আগামীকাল বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ জানাবেন বলে জানান।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং অফিসার এ কে এম শামিমুল হক ছিদ্দিকী জানান, এ বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেননি এবং তাঁর কিছু জানা নেই।
জেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে গতকাল সাংসদ ও মন্ত্রীদের তাঁদের নিজ নিজ এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।