নাইকো দুর্নীতি মামলা চলবে কি না, আদেশ ১৪ জুন
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা নাইকো মামলা চলবে কি না, সে বিষয়ে হাইকোর্ট আদেশ দেবেন ১৪ জুন। মামলা বাতিল প্রশ্নে খালেদা জিয়ার করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দেওয়া রুলের ওপর শুনানি শেষে আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি নুরুজ্জামান ও বিচারপতি জাফর আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।
একই সঙ্গে গ্যাটকো মামলার শুনানি আগামী রোববার পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে।
শুনানি শেষে আদালত বলেন, আগামী ১ জুন থেকে ১৩ জুন পর্যন্ত গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে থাকবে হাইকোর্ট। সে কারণে ১৪ জুন বা এর পর এই বিষয়ে রায় দেওয়া হবে।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী, অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন ও ব্যারিস্টার এহসানুর রহমান। আর দুদকের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।
ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী এনটিভি অনলাইনকে বলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা তিনটি মামলার রুলের শুনানি চলছে। এর মধ্যে নাইকো মামলার শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে আগামী ১৪ জুনের পরে আদেশের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া এ মামলায় অর্থ আত্মসাৎ করেছেন এ রকম কোনো অভিযোগ নেই অথবা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এ চুক্তি করে আর্থিক সুবিধা নিয়েছেন এমনও কোনো অভিযোগ নেই। এ কারণে খালেদা জিয়ার বিরুদ্দে ফৌজদারি মামলা হতে পারে না। একই ঘটনায় দুদকের মামলা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেও করা হয়েছিল। হাইকোর্ট তার মামলা বাতিল করে দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, নাইকো চুক্তির বিষয়ে ১৯৯৭ সালেই খসড়া তৈরি করা হয় এবং তৎকালীন সরকার এ চুক্তির জন্য সুপারিশ করে। তারই ধারাবাহিকতায় বিএনপি সরকার ক্ষমতায় এসে চুক্তি সম্পাদন করে। তাই একই ঘটনায় যেহেতু একজন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা খারিজ হয়ে যায় তাই অন্য জনের বিরুদ্ধেও মামলা চলতে পারে না।
কানাডীয় কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের ১০ হাজার কোটি টাকা ক্ষতিসাধনের অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুদক। এ মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে খালেদা জিয়ার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৮ সালের ৯ জুলাই মামলাটির কার্যক্রম স্থগিত এবং রুল জারি করেন হাইকোর্ট।