সুন্দরবন হোটেলের দেয়াল ধস; পান্থপথে যান বন্ধ
রাজধানীর কারওয়ানবাজার সংলগ্ন সিআর দ্ত্ত সড়কের পাশে অবস্থিত সুন্দরবন আবাসিক হোটেলের উত্তর দিকের একটি দেয়াল ধসে পড়েছে। আজ বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে দেয়ালটি ধসে পড়ে। নতুন করে ধসের পর সার্ক ফোয়ারা সংলগ্ন পান্থপথ সড়কের একাংশ দিয়ে সব যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
গতকাল বুধবার সকালে নির্মাণাধীন ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড (এনবিএল) টুইন টাওয়ার তৈরির জন্য গর্ত খোঁড়ার কারণে সুন্দরবন হোটেলের প্রাচীরের একাংশ ধসে পড়ে।এতে তিন তারকা হোটেলটি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বেজমেন্টের নিচের মাটি সরে যাওয়ায় হোটেলের ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। জরুরিভিত্তিতে সেখান থেকে সব অতিথিকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়। বিপদের আশঙ্কায় পাশের কাঁঠালবাগান ও পান্থপথ এলাকার বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়।
ঝুঁকিপূর্ণ হোটেলটি ও রাস্তা রক্ষা করতে প্রকৌশলী, বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের নিয়ে ১৪ সদস্যের সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটির পরামর্শে হোটেলটির নিচে ও রাস্তায় রাত পর্যন্ত বালু ফেলা হয়। রাতে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (রাজউক) কমিটি গঠন করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন। পরে রাজউক তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে।
গতকাল বুধবার ঘটনার পর পরই ঘটনাস্থলে ছুটে যান ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আনিসুল হক, ঢাকা দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন, সংসদ সদস্য ফজলে নূর তাপস ও আসলামুল হক। তাঁরা ও রাজউক এ ধসের জন্য নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের অবহেলাকেই দায়ী করেছেন।
পাইলিংয়ের জন্য খোঁড়া গর্ত ভরাট কার্যক্রম দেখতে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ঢাকা উত্তরের মেয়র আনিসুল হক। ধসের আশঙ্কায় এরই মধ্যে ঘটনাস্থলের পাশে অবস্থিত বিলবোর্ড এবং হকারদের সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আনিসুল হক। সে সময় তিনি দ্রুত রাস্তা ভরাটের কাজে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা চান। তাঁর সাথে ছিলেন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ফখরুল আমিন।
ফখরুল আমিন বলেন, ঝুঁকি এখন অনেকটাই কমে এসেছে। তবে বেশি বৃষ্টি হলে ন্যাশন্যাল ব্যাংকের নির্মাণাধীন বহুতল ভবনের উত্তর পাশের (বসুন্ধরা সিটিমুখী রাস্তা) পাইলিং ধসে পড়ার ভয় রয়েছে। আর রাস্তাটি ধসে পড়লে সার্ক ফোয়ারাও ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে।