সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের আমির সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা আবদুল খালেক মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ রোববার বিকেলে সদর উপজেলার বৈকারি বাজার থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির জানান, খালেক মাওলানার  বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় দুই ডজনেরও বেশি মামলা রয়েছে। নতুন করে আরো একটি মামলা হবে।  

জামায়াতের আমির খালেক মণ্ডলকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে সন্ধ্যায় প্রেস ব্রিফিং করেন সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর মোদাচ্ছের আলী। তিনি জানান, তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতাসহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে । রোববার দুপুরে পুলিশ গোপন সূত্রে জানতে পারে পলাতক জামায়াত নেতা খালেক মাওলানা সদর উপজেলার বৈকারি বাজারে আছেন। নাশকতার লক্ষ্যে তিনি দলের সেক্রেটারি নুরুল হুদা, হাবিবুর রহমান, আলতাফ হোসেন, তাঁর জামাতা মাওলানা গফফার, আবদুল আজিজ বৈকারি ইউনিয়নের খলিলনগরে মিটিং করবেন। এরপর সাদা পোশাকে পুলিশের একটি দল সেখানে পৌঁছে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। তবে অন্যরা পালিয়ে যায়।

ব্রিফিংয়ে পুলিশ জানিয়েছে, আবদুল খালেক মণ্ডল দীর্ঘদিন ধরেই গোপনে ও প্রকাশ্যে নাশকতা পরিচালনা করে আসছিলেন। ২০১৩ সাল ও তার পর জামায়াতের নেতৃত্বে জেলাব্যাপী সংঘটিত নাশকতা, সহিংসতা, গাছ কাটা, সড়ক অবরোধ, সড়ক বিচ্ছিন্নকরণ, হত্যা এবং পুলিশের ওপর হামলার ঘটনার নেতৃত্ব দেন তিনি।

জেলা জামায়াতের আমির, সাবেক সংসদ সদস্য খালেক মণ্ডলকে গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়েছে সাতক্ষীরা জেলা জামায়াত। এর প্রতিবাদে দলটি আগামীকাল সোমবার সকাল ৬টা থেকে জেলাব্যাপী ৪৮ ঘণ্টার হরতালের ডাক দিয়েছে। জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা রফিকুল ইসলাম ও সেক্রেটারি নুরুল হুদা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে।