বিপদ এখনো কাটেনি : ইনু
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ‘আমরা গত আট বছরে বিএনপি-জামায়াত চক্রকে অনেকটা কোণঠাসা করতে সক্ষম হয়েছি। তারা পিছু হঠতে বাধ্য হয়েছে। তিনি (খালেদা জিয়া) পিছু হঠতে শুরু করেছেন কিন্তু রাজনৈতিকভাবে এখন পর্যন্ত আত্মসমর্পণ করেননি। তাই এখনো আমাদের বিপদ কাটেনি।’
আজ বৃহস্পতিবার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে একাত্তরের ঘাতক দলাল নির্মূল কমিটির রজতজয়ন্তী ও সপ্তম জাতীয় সম্মেলনের প্রথম দিনের দ্বিতীয় অধিবেশনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (একাংশ) সভাপতি এসব কথা বলেন।
হাসানুল হক ইনু বলেন, জঙ্গি দমনের যুদ্ধের মধ্যে নির্বাচন সামনে আসছে। অতীতেও নির্বাচন হয়েছে এবং সামনেও হবে। আমাদের আরেকটি লক্ষ্য হলো যুদ্ধাপরাধী রাজনৈতিক দল জামায়াতকে বিচারের মুখোমুখি করে নিষিদ্ধ করতে হবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন এবং গণতন্ত্রের কথা বললেও তারা চাইছে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ, সাম্প্রদায়িক রাজনীতি ফিরিয়ে আনা। যদি তা হয় আমরা মহাসংকটে পড়ে যাব।’
আওয়ামী লীগ-বিএনপির মধ্যে সংলাপ আহ্বানকারীদের সমালোচনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে ইদানীং দুই দলের মিটমাটের বিষয়টি সামনে আনছেন অনেকেই। ৭১ সালের যুদ্ধের সময়ও এমন মিটমাটের তত্ত্ব এসেছিল। যখনই কোনো মোড় ঘুরে যাওয়াকালীন কোনো ঘটনা ঘটে, তখনই এ রকম মিটমাট-তত্ত্ব সামনে আনে বিভিন্ন মহল। সামরিক শাসন, জঙ্গিদের সঙ্গে গণতান্ত্রিক শক্তির কোনো সংলাপ হতে পারে না।
জাসদ সভাপতি বলেন, সংবিধানের পঞ্চম ও সপ্তম সংশোধনী খারিজ আমাদের জন্য বড় বিজয়। তার চেয়েও বড় বিজয় হলো যে অসাম্প্রদায়িকতা, সমাজততন্ত্র এবং গণতন্ত্রসহ যে চারটি স্তম্ভের ওপর মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে তা শেখ হাসিনা সাহসের সঙ্গে সংবিধানে ফিরিয়ে এনেছেন।
এ সময় ইনু বলেন, ‘এখনো আমি স্বীকার করি, সংবিধানে সামরিক শাসনের অনেক পদচিহ্ন এবং সাম্প্রদায়িক ছাপ রয়েছে। তাই আমাদের সামনে আগামীতে যে অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ার যে আন্দোলন চলছে তা চলবে এবং এগুলো মুছে ফেলা যাবে বলে আমি মনে করি।’
সংগঠনের উপদেষ্টা শফিক আহমেদের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রাজ্জাক, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়েশা খানম, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত প্রমুখ।