২৫তম স্ত্রীর মামলা, ২৭তম স্ত্রীর বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার!
বরগুনার তালতলী উপজেলার গেণ্ডামারা গ্রাম থেকে ইয়াসিন ব্যাপারী (৪৮) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ২৫তম স্ত্রীর যৌতুক নিরোধ আইনে করা একটি মামলায় গতকাল রোববার ২৭তম স্ত্রীর বাড়ি থেকে ইয়াসিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ সোমবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে ইয়াসিনকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
তালতলী থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সাইদুল ইসলাম বলেন, ইয়াছিনের বাড়ি খুলনার রূপসাঘাট এলাকায়। রূপসা থানায় তার বিরুদ্ধে ২৫তম স্ত্রী শিউলী আক্তার তানিয়া (২২) একটি মামলা করেন। ওই মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি ছিল। গতকাল তালতলী উপজেলার গেণ্ডামারা গ্রামে ২৭তম স্ত্রী রুমানা আক্তারের বাড়ি থেকে ইয়াছিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই বাড়িটি রুমানার বাবা জয়নাল আকনের।
খুলনার পাইকগাছা উপজেলার গোপালপুর গ্রামের শাহ আলম মণ্ডলের মেয়ে শিউলী আক্তারের দাবি, ২০১৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি ইয়াছিনের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। ইয়াছিন বড় ব্যবসায়ী পরিচয় দেওয়ায় বাবার অনুমতিতে সে বিয়ে করে। এরপর গত বছরের ১১ জানুয়ারি তাঁদের সংসারে একটি সন্তান জন্ম হয়।
শিউলী আক্তার বলেন, ‘আগের স্ত্রীর বিষয়গুলো গোপন রেখে ইয়াসিন আমায় বিয়ে করে। এরপর সন্তান প্রসবের সময় জানতে পারি, আমি তার প্রথম স্ত্রী নই। তাঁর আগেও ইয়াছিন ২৪টি বিয়ে করেন।’
‘অবৈধ মাদক ব্যবসা থেকে শুরু করে নারী পাচারসহ এমন কোনো অপরাধ নেই যা ইয়াসিন করে না’ যোগ করেন শিউলী।
ইয়াসিনের ২৫তম স্ত্রী বলেন, এ পর্যন্ত তিনি ইয়াসিনের ১৫ স্ত্রীর ঠিকানা বের করেছেন। ইয়াসিনের দুই নম্বর স্ত্রীর ঘরে দুই মেয়ে, তিন নম্বর স্ত্রীর ঘরে এক ছেলে, সাত নম্বর স্ত্রীর ঘরে এক ছেলে, ২৪ নম্বর স্ত্রীর ঘরে এক মেয়ে আছে বলে তিনি জানতে পেরেছেন।
শিউলী আক্তারের দাবি, বিয়ের পর ইয়াসিন কাজ করার অজুহাতে প্রায়ই বাড়িতে থাকতেন না। তাঁকে না বলে অন্যত্র চলে যেতেন। এরই ফাঁকে ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার মাটিভাঙ্গা এলাকার পুতুল নামের এক মেয়েকে বিয়ে করে। বিয়ের কয়েক দিন পর পুতুল ইয়াসিনের সব ঘটনা জানতে পেরে তাঁকে তালাক দেয়। এরপর ২০১৫ সালের মাঝামাঝির দিকে চট্টগ্রামে থাকার সময় রুমানাকে বিয়ে করে ইয়াসিন। বিয়ের পর রুমানাকে বাবার বাসাতেই রাখে।
ইয়াসিনের সব ঘটনা জানতে পেরে শিউলী আক্তার খুলনার মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর যৌতুক নিরোধ আইনে একটি মামলা করেন। যৌতুক নিরোধ আইনের ৪ ধারার মামলাটিতে (সিআর ১৭৪/১৬ রূপসা) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি ছিল ইয়াসিনের নামে।