কিবরিয়া হত্যা : মামলার তদন্তেই পার ১০ বছর
হবিগঞ্জে গ্রেনেড হামলায় নিহত সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়ার ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০০৫ সালের এই দিনে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যেরবাজারে গ্রেনেড হামলায় কিবরিয়াসহ পাঁচজন নিহত ও কমপক্ষে ৭০ জন আহত হয়েছিলেন। দীর্ঘ এক যুগেও হয়নি বিচার। হত্যা ও বিস্ফোরক মামলার তদন্তেই চলে গেছে ১০ বছর।
সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়ার ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ ঢাকা ও হবিগঞ্জে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে হবিগঞ্জের বৈদ্যেরবাজারে স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ, দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা।
পৃথকভাবে এ কর্মসূচিগুলো পালন করে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠন এবং শহীদ কিবরিয়া ফাউন্ডেশন। এ ছাড়া ঢাকায় মরহুমের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে কিবরিয়া পরিবার।
২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি বিকেলে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যেরবাজারে ঈদ-পরবর্তী এক জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন তৎকালীন হবিগঞ্জ-৩ আসনের এমপি ও সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া। বক্তব্য শেষে তিনি মঞ্চ থেকে নেমে সহকর্মীদের নিয়ে বৈদ্যেরবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গেটে আসেন। তখন তাঁর ওপর গ্রেনেড হামলা করা হয়। এতে এ এম এস কিবরিয়া, ভাতিজা শাহ মনজুরুল হুদা, আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রহিম, আবুল হোসেন ও সিদ্দিক আলী প্রাণ হারান।
কিবরিয়া হত্যা মামলা ও তদন্ত কার্যক্রম
গ্রেনেড হামলার পরদিন ২৮ জানুয়ারি হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুল মজিদ খান বাদী হয়ে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা করেন। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ২০ মার্চ কেন্দ্রীয় তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) তৎকালীন সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মুন্সী আতিকুর রহমান মামলাটি তদন্ত করে ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
অভিযোগপত্রে তৎকালীন জিয়া স্মৃতি ও গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও জেলা বিএনপির সহসভাপতি আবদুল কাইয়ুম, জেলা বিএনপির কর্মী আয়াত আলী, কাজল মিয়া, জেলা ছাত্রদলের সহ-দপ্তর সম্পাদক সেলিম আহমেদ, জিয়া স্মৃতি গবেষণা পরিষদ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী, বিএনপিকর্মী তাজুল ইসলাম, বিএনপিকর্মী জয়নাল আবেদীন জালাল, ইউনিয়ন বিএনপি নেতা জমির আলী, ওয়ার্ড বিএনপি নেতা জয়নাল আবেদীন মোমিন ও ছাত্রদলকর্মী মহিবুর রহমানকে অভিযুক্ত করা হয়।
অভিযোগপত্র দেওয়ার পর মামলার বাদী আবদুল মজিদ খান ২০০৬ সালের ৩ মে সিলেট দ্রুত বিচার আদালতে নারাজি আবেদন করেন। এ নিয়ে আইনি লড়াই হয়। পরে সিআইডির এএসপি রফিকুল ইসলামকে অধিকতর তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০১১ সালের ২০ জুন আরো ১৪ জনকে আসামি করে দ্বিতীয় সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করেন তিনি।
সম্পূরক অভিযোগপত্রে থাকা ১৪ আসামি হলেন—সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি আবদুল হান্নান, লস্কর-ই-তৈয়্যবা সদস্য আবদুল মজিদ কাশ্মীরি, সাবেক প্রতিমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর ভাই মাওলানা তাজউদ্দিন, মহিউদ্দিন অভি, শাহেদুল আলম দিলু, সৈয়দ নাঈম আহমেদ আরিফ, ফজলুল আলম মিজান, মিজানুর রহমান মিঠু, মোহাম্মদ আবদুল হাই, মোহাম্মদ আলী, মুফতি সফিকুর রহমান, বদরুল এনায়েত মোহাম্মাদ বদরুল ও বদরুল আলম মিজান।
২০১১ সালের ২৮ জুন কিবরিয়ার স্ত্রী আসমা কিবরিয়া অভিযোগপত্রের ওপর হবিগঞ্জ বিচারিক হাকিমের আদালতে নারাজি আবেদন করেন। আবেদনে আসমা কিবরিয়া দাবি করেন, অভিযোগপত্র যথাযথভাবে তৈরি হয়নি। হবিগঞ্জের তৎকালীন জেলা প্রশাসক (ডিসি) এমদাদুল হককে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করলে মূল তথ্য উদঘাটন হবে। তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস, অভিযোগপত্রে যাদের নাম এসেছে, তার বাইরে আরো অনেকেই জড়িত রয়েছেন।
২০১২ সালের ৫ জানুয়ারি হত্যাকাণ্ডের অধিকতর তদন্তের অভিযোগপত্রের নারাজি আবেদন গ্রহণ করেন সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক দিলীপ কুমার বণিক। তিনি পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের মাধ্যমে মামলার অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন।
তৃতীয় সম্পূরক অভিযোগপত্র
২০১৪ সালের ১৩ নভেম্বর হবিগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম রোকেয়া আক্তারের আদালতে কিবরিয়া হত্যা মামলার তৃতীয় সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করেন সিআইডির সিলেট অঞ্চলের জ্যেষ্ঠ এএসপি মেহেরুন নেছা পারুল। অভিযোগপত্রে নতুন ১১ জনকে আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
নতুন আসামিরা হলেন—সিলেট সিটি করপোরেশনের বরখাস্তকৃত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, হবিগঞ্জ পৌর মেয়র জি কে গউছ, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, মুফতি আব্দুল হাই, মুফতি তাজ উদ্দিন, মুফতি সফিকুর রহমান, মোহাম্মদ আলী, বদরুল, মহিবুর রহমান, কাজল আহমেদ ও হাফেজ ইয়াহিয়া।
একই সঙ্গে আগের অভিযোগপত্রভুক্ত ইউসুফ বিন শরীফ, আবু বক্কর আবদুল করিম ও মরহুম আহছান উল্লাহকে চার্জশিট থেকে অব্যাহতির আবেদন করেন।
৩ ডিসেম্বর মামলার শুনানিকালে চার্জশিটে ত্রুটির কথা উল্লেখ করে সংশোধিত চার্জশিট জমা দিওয়ার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। এ পরিপ্রেক্ষিতে ২১ ডিসেম্বর সংশোধিত চার্জশীট গ্রহণ করে আদালত। একই সঙ্গে পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেওয়া হয়।
মেয়র আরিফ ও মেয়র গউছের আত্মসমর্পণ
তৃতীয় দফা সম্পূরক চার্জশিট আদালতে গৃহীত হওয়ার পর ২০১৪ সালের ২৮ ডিসেম্বর আদালতে আত্মসমর্পণ করেন হবিগঞ্জ পৌর মেয়র জি কে গউছ। এর দুদিন পর ৩০ ডিসেম্বর একই আদালতে আত্মসমর্পণ করেন সিলেট সিটি করপোরেশন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
এ মামলায় দুই বছর কারাগারে বন্দি থাকার পর হাইকোর্টের আদেশে গত ৪ জানুয়ারি আরিফুল হক চৌধুরী ও জি কে গউছ সিলেট কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান। ২০১৫ সালের ২৫ জানুয়ারি বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীসহ ১০ পলাতক আসামির বিরুদ্ধে ক্রোক পরোয়ানা জারি করেন হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রশিদ আহমেদ মিলন।
পলাতক অপর আসামিরা হলেন—মাওলানা তাজউদ্দিন, মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আবদুল হাই, মোহাম্মদ আলী, বদরুল, মহিবুর রহমান, কাজল মিয়া, মাওলানা ইয়াহিয়া ও আবদুল জলিল।
দীর্ঘদিন মামলাটি হবিগঞ্জ আদালতে পরিচালনা করার পর ২০১৫ সালের ২ জুন মামলাটি সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর আদেশ দেন হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিশাত সুলতানার আদালত। পরে ওই বছরের ১১ জুন মামলাটি হবিগঞ্জ আদালত থেকে সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।
সেদিন হবিগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আতাব উল্লাহ্ স্বাক্ষরিত মামলার মূল নথি এবং পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) স্বাক্ষরিত কেস ডায়রি (সিডি) কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে সিলেটে পাঠানো করা হয়। এক হাজার ৫৬৪ পাতার কেস ডায়েরিটি সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপির কাছে এবং মামলার মূল নথি পাঠানো হয় একই ট্রাইব্যুনালের বিচারকের কাছে।
সেখানে মামলার ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয় এবং ১৩৫ দিনের মধ্যে মামলার বিচার কার্যক্রম শেষ করার সময়সীমা শেষ হওয়ায় ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত মামলাটি স্থগিত রাখা হয়। পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইন শাখা থেকে এ মামলা কার্যক্রম ১৩৫ দিনের মধ্যে শেষ করা বাধ্যতামূলক নয় বলে অভিমত দেওয়া হলে ওই বছরেরই ১০ মার্চ থেকে ফের সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়।
সর্বশেষ চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি কিবরিয়া হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ছিল। কিন্তু সেদিন ১০ আসামির মধ্যে নয় আসামি আদালতে হাজির না হওয়ায় সাক্ষ্য গ্রহণ পিছিয়ে দেন সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মকবুল আহসান। পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণ ধার্য করেন ৮ ফেব্রুয়ারি। আলোচিত এ মামলায় ১৭১ সাক্ষীর মধ্যে মাত্র ৪৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
এদিকে, বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা মামলাটি বর্তমানে হবিগঞ্জ দায়রা জজ ও বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ আদালতে বিচারিক কার্যক্রমের প্রক্রিয়াধীন থাকার পর সিলেটে প্রেরণ করা হয়। কিন্তু যথাযথভাবে প্রেরণ না করায় মামলাটি পুনরায় হবিগঞ্জ জেলা জজ আদালতে ফেরত আসে। মামলার এমন ধীরগতি এবং আইনি জটিলতার কারণে বিচার কার্যক্রম নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে নিহতদের পরিবারের মধ্যে। এক-দুজন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ আর সাক্ষ্য গ্রহণ পেছানোর মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছে বিচার কার্যক্রম।
বিচার নিয়ে নিহতের স্বজনদের শঙ্কা
দুই বছর আগে পুনরায় বিচার কার্যক্রম শুরু হলেও কবে রায় হবে, এ নিয়ে নিহতদের স্বজনদের মধ্যে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। কিবরিয়ার সঙ্গে নিহত দরিদ্র পরিবারের লোকজন অনেকটা মানববেতন জীবনযাপন করছেন।
নিহত সিদ্দিক আলীর ছেলে আবদুল কুদ্দুছ মিয়া বলেন, ‘দুই বছর আগে বিচার কার্যক্রম শুরু হয়েছে শুনে আমরা অনেক খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু রায় কবে হবে, এ নিয়ে আমরা অনেক অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছি। আমরা সাক্ষী দিতে গেলেও আসামিরা আমাদের প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। এ অবস্থায় নিজের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছি।’
সিদ্দিক দাবি করেন, এ সরকারের আমলে বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। নিহত আবুল হোসেন ও আবদুর রহিমের স্বজনরাও এই সরকারের আমলে তাঁদের হত্যার বিচার সম্পন্নের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান।
গ্রেনেড হামলায় আহতদের বক্তব্য
গ্রেনেড হামলায় আহত হবিগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল্লাহ সরদার বলেন, ‘সেদিন বিকট শব্দের পর আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ি। কিছুই মনে ছিল না। দীর্ঘ চিকিৎসায় সুস্থ হলেও কোনোভাবে চলাফেরা করছি।’
গ্রেনেড হামলায় আহত হবিগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুল আহাদ ফারুক বলেন, ‘সেদিন আমি অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছি। তবে শরীরের যে বেদনা বইতে হয়েছিল, তা ছিল কঠিন। আল্লাহর রহমতে এখন সুস্থ আছি এবং ঘাতকদের বিচারের আশায় আছি।’
গ্রেনেড হামলায় আহত নবীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান আলমগীর চৌধুরী বলেন, ‘ওই সভায় আমিও উপস্থিত ছিলাম। অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছি। এ ঘটনা এখনো আমি ভুলতে পারিনি। বিচার যেহেতু শুরু হয়েছে আশা করি দ্রুততম সময়ের মধ্যে পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।’
আইনজীবীর বক্তব্য
কিবরিয়া হত্যা মামলা সম্পর্কে হবিগঞ্জের পিপি সিরাজুল হক চৌধুরী জানান, কিবরিয়া হত্যা মামলা ও বিস্ফোরক মামলা সিলেট দ্রুত ট্রাইব্যুনালে গিয়েছে। সেখানেই মামলার বিচার সম্পন্ন হবে।
সিরাজুল হক বলেন, ‘এ মামলার অনেক সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। আরো অনেক সাক্ষী সাক্ষ্য দেওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন। সেই সাক্ষীগুলো যথাসময়ে সাক্ষ্য না দেওয়ায় মামলার বিচার কার্যক্রম বিলম্বিত হচ্ছে।’
মামলার বাদীর বক্তব্য
আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার বাদী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুল মজিদ খান এমপি জানান, বিচার কার্যক্রম দেরি নিয়ে অনেকে দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকতে পারে। ১৭১ সাক্ষীর মধ্যে ৪৩ জনের সাক্ষ্য সম্পন্ন হয়েছে। বাংলাদেশে মাটি কেউ জঘন্য অপরাধ করে ছাড় পাবে না। এই হত্যাকাণ্ডের বিচার এ সরকারের আমলে সম্পন্ন হবে।