তাভেলা হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ
ইতালির নাগরিক তাভেলা সিজার হত্যা মামলায় একজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত।
আজ রোববার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লার আদালতে শান্ত গোমেজ নামের এক ব্যক্তি সাক্ষ্য দেন। তাঁর সাক্ষ্য শেষে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জেরা করেন।
বিচারক জেরা শেষে আগামীকাল সোমবার সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী দিন ধার্য করেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের সরকারি কৌঁসুলি তাপস কুমার পাল সাংবাদিকদের জানান, এ মামলায় এ নিয়ে পাঁচজনের সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত হয়েছে। আগামীকাল সাক্ষের জন্য মামলাটি আবার রাখা হয়েছে।
গত বছরের ২৮ জুন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) আদালতে বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার এম এ কাইয়ুমসহ সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক গোলাম রাব্বানী।
অভিযোগপত্রে থাকা অন্য আসামিরা হলেন কাইয়ুমের ভাই আবদুল মতিন, তামজিদ আহমেদ ওরফে রুবেল, রাসেল চৌধুরী, মিনহাজুল আরেফিন ওরফে ভাগনে রাসেল, শাখাওয়াত হোসেন ও সোহেল।
আসামিদের মধ্যে তামজিদ, রাসেল চৌধুরী, মিনহাজুল ও শাখাওয়াত আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন।
এ ছাড়া আসামি মতিনসহ স্বীকারোক্তি দেওয়া অন্য আসামিরা কারাগারে আটক রয়েছেন। অন্যদিকে কাইয়ুম ও সোহেল পলাতক।
অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, হামলাকারীদের লক্ষ্য ছিল একজন শ্বেতাঙ্গকে হত্যা করে দেশ-বিদেশে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেওয়া। দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে এই পরিকল্পনা করা হয়।
অভিযোগপত্রে আরো বলা হয়, ভাঙাড়ি সোহেলের কাছ থেকে পিস্তল ভাড়া নিয়ে খুনিরা তাভেলা সিজারকে হত্যা করে। মতিনের নির্দেশে ২০১৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর শাখাওয়াতের মোটরসাইকেল নিয়ে মিনহাজুল, তামজিদ ও রাসেল চৌধুরী গুলশান ২-এর ৯০ নম্বর সড়কে যান।
ওই সড়কের গভর্নর হাউসের সীমানা প্রাচীরের বাইরে ফুটপাতে নিরিবিলি ও অন্ধকার স্থানে তামজিদ গুলি করে তাভেলা সিজারকে (৫১) হত্যা করেন। তাঁকে সহায়তা করেন রাসেল চৌধুরী ও মিনহাজুল।