হবিগঞ্জে স্কুলছাত্র হত্যা মামলায় সহপাঠীসহ ৫ আসামির যাবজ্জীবন
হবিগঞ্জে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র তৌকির হত্যা মামলায় এক সহপাঠীসহ পাঁচ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার দুপুরে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মাফরোজা পারভীন এই রায় দেন। রায়ে মামলার আট আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
দণ্ডাদেশ পাওয়া আসামিরা হলেন হবিগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র নিয়াজ, বখাটে রনি, হেলাল উদ্দিন তুর্কী, আক্তার মিয়া ও মোশাররফ হোসেন সাদ্দাম। রায় ঘোষণাকালে আসামি নিয়াজ ও আক্তার আদালতে হাজির ছিলেন। অন্যরা পলাতক।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সালেহ উদ্দিন আহমেদ জানান, ঘটনার সময় আসামিদের বয়স কম বিবেচনায় তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন বিচারক।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, হবিগঞ্জ শহরের ইনাতাবাদ এলাকার আবদুল বারিকের ছেলে কায়েছ আহমেদ তৌকিরকে দীর্ঘদিন ধরে কয়েকজন বখাটে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করে আসছিল। এ বিষয়টি তৌকিরের বাবা বখাটেদের অভিভাবকদের জানালে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এর জের ধরে ২০০৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর বিকেলে তৌকিরের সহপাঠী নিয়াজ তাকে ফোন দিয়ে হবিগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে সুলতানিয়া লাইব্রেরিতে আসতে বলে। তৌকির সরল বিশ্বাসে সহপাঠীর কথায় হবিগঞ্জ শহরের প্রধান সড়কে সুলতানিয়া লাইব্রেরির কাছে আসামাত্র বখাটেরা তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে।
এ ঘটনায় তৌকিরের বাবা আবদুল বারিক বাদী হয়ে ১৩ জনের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট সালেহ উদ্দিন আহমেদ। আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট আবুল খায়ের, অ্যাডভোকেট সুফি মিয়া, অ্যাডভোকেট ইকবাল বর চৌধুরী ও অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান।