বার বার সময় পেছাচ্ছে রিজেন্ট, বিপাকে যাত্রী
পূর্বঘোষণা ছাড়াই রিজেন্ট এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটের সময় দুই দফা পেছানো হয়েছে। আজ রোববার সকালে বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পরও যাত্রীরা জানতেন না ওই বিমান সংস্থার ঢাকা-সিঙ্গাপুর রুটের ফ্লাইট দেরি হচ্ছে। ফ্লাইটের মাত্র কয়েক মিনিট আগে বিমান সংস্থাটির পক্ষ থেকে যাত্রীদের কাছে এসএমএস পাঠিয়ে ফ্লাইট দেরির কথা জানানো হয়। তবে ওই বিমান কর্তৃপক্ষের কোনো কর্মকর্তাকে বিমানবন্দরে খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা। অনিশ্চয়তায় পড়েছেন প্রায় ২০০ যাত্রী।
ভুক্তভোগী যাত্রীরা জানিয়েছেন, আজ বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে রিজেন্ট এয়ারওয়েজের সিঙ্গাপুরগামী ফ্লাইট আরএক্স৭৮৪/ ৭ জুন ছাড়ার কথা ছিল। তবে এর মাত্র পাঁচ মিনিট আগে বিমান কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে মেসেজ পাঠিয়ে জানানো হয় ফ্লাইট এক ঘণ্টা দেরি হয়ে ১২টা ৪৫ মিনিটে ছাড়বে। পরে সাড়ে ১২টার দিকে জানানো হয় ১টা ৪৫ দিকে ফ্লাইট ছাড়বে। তবে বিমানবন্দরের কোনো কর্মকর্তা সেখানে উপস্থিত নেই। নিম্ন পর্যায়ের দুই একজন কর্মচারী থাকলেও তাঁরা ফ্লাইটের ব্যাপারে কোনো তথ্য দিতে পারছেন না।
রিজেন্ট এয়ারওয়েজের সিঙ্গাপুরগামী ফ্লাইটের যাত্রী আরিফুজ্জামান তুহিন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ধানমণ্ডি ১৫ থেকে সাড়ে ৮টার দিকে তিনি স্ত্রীকে নিয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসেছেন। সব কাজ শেষে ফ্লাইটের মাত্র মিনিট খানেক আগে তাঁদের মোবাইলে মেসেজ পাঠিয়ে জানানো হয় ফ্লাইট দেরি হবে। বিমানবন্দরে অবস্থিত রিজেন্টের শাখা কার্যালয়ে কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না, যিনি ফ্লাইটের সঠিক সময় বা দেরি হওয়ার কোনো সদুত্তর দিতে পারেন। অ্যাটেনডেন্ট পর্যায়ের দু-একজন মানুষ থাকলেও তাঁরা এই ব্যাপারে কোনো তথ্য দিতে পারেনি। আর মেসেজে এক ঘণ্টা দেরির কথা জানানো হলেও পরে আরো এক ঘণ্টা দেরি হবে বলে জানানো হয়েছে। যাত্রীদের অপেক্ষার স্থানটিতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র কাজ করছে না। অনিশ্চয়তা ও গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে প্রায় ২০০ যাত্রী।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রিজেন্ট এয়ারওয়েজ থেকে পাঠানো এসএমএসে প্রদর্শিত নম্বরে ফোন করা হলে কাস্টমার কেয়ার কর্মকর্তা শাফিন সরকার বলেন, তাঁদের সিস্টেমে ফ্লাইটের সময় দেখানো হচ্ছে ১টা ৪৫। যাত্রীদের জানানো হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, দ্রুত যাত্রীদের এ বিষয়ে জানানো হচ্ছে।
রিজেন্টের কাস্টমার কেয়ার কর্মকর্তা আহাদুল ইসলাম নওশাদ ফোনে বলেন, ‘এসএমএসে যাত্রীদের ফ্লাইট লেট হওয়ার কথা জানানো হয়েছে। এখানে যাত্রীদের কোনো অভিযোগ থাকলে আমাদের জানাবে, সাংবাদিকদের কেন জানাবে।’
কাউন্টারে কোনো লোক নেই যাত্রীদের এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সব সময়ই সেখানে বিমান সংস্থাটির লোক ছিল। ফ্লাইট দেরির কারণ ও এটি ছাড়ার প্রকৃত সময় সম্পর্কে জানতে চাইলে ওই কর্মকর্তা আরেক ফোন নম্বরে ট্রান্সফার করেন। তবে ওই নম্বরে কয়েকবার রিং হওয়ার পর কাউকে পাওয়া যায়নি।