তাভেলা হত্যায় পুলিশ সার্জেন্টকে জেরা, ফের সাক্ষ্য ১৬ ফেব্রুয়ারি
ইতালির নাগরিক তাভেলা সিজার হত্যা মামলায় আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লার আদালতে পুলিশের সার্জেন্ট মো. মোশারফ হোসেনের জেরার জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন আসামিদের পক্ষের আইনজীবী মোশারফকে জেরা করেন। জেরা শেষে বিচারক আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী দিন ধার্য করেন।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি তাপস কুমার পাল এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বুধবারের সাক্ষ্য দেওয়া পুলিশের সার্জেন্ট মোশারফ হোসেনকে আজ জেরা করেন আইনজীবীরা। এ ছাড়া আজ নতুন কোনো সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ হয়নি।
গত বছরের ২৮ জুন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) আদালতে বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার এম এ কাইয়ুমসহ সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক গোলাম রাব্বানী।
অভিযোগপত্রে থাকা অন্য আসামিরা হলেন কাইয়ুমের ভাই আবদুল মতিন, তামজিদ আহমেদ ওরফে রুবেল, রাসেল চৌধুরী, মিনহাজুল আরেফিন ওরফে ভাগ্নে রাসেল, শাখাওয়াত হোসেন ও সোহেল।
আসামিদের মধ্যে তামজিদ, রাসেল চৌধুরী, মিনহাজুল ও শাখাওয়াত আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন।
এ ছাড়া আসামি মতিনসহ স্বীকারোক্তি দেওয়া অন্য আসামিরা কারাগারে আটক। অন্যদিকে কাইয়ুম ও সোহেল পলাতক।
অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, হামলাকারীদের লক্ষ্য ছিল একজন শ্বেতাঙ্গকে হত্যা করে দেশ-বিদেশে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেওয়া। দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে এই পরিকল্পনা করা হয়।
অভিযোগপত্রে আরো বলা হয়, ভাঙারি সোহেলের কাছ থেকে পিস্তল ভাড়া নিয়ে খুনিরা তাভেলা সিজারকে হত্যা করেন। মতিনের নির্দেশে ২০১৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর শাখাওয়াতের মোটরসাইকেল নিয়ে মিনহাজুল, তামজিদ ও রাসেল চৌধুরী গুলশান ২-এর ৯০ নম্বর সড়কে যান।
ওই সড়কের গভর্নর হাউসের সীমানাপ্রাচীরের বাইরে ফুটপাতে নিরিবিলি ও অন্ধকার স্থানে তামজিদ গুলি করে তাভেলা সিজারকে (৫১) হত্যা করেন। তাঁকে সহায়তা করেন রাসেল চৌধুরী ও মিনহাজুল।