তাভেলার চালকসহ তিনজন সাক্ষ্য দিলেন
ইতালির নাগরিক তাভেলা সিজার হত্যা মামলায় তাঁর গাড়িচালক আবু বকর সিদ্দিকসহ তিনজন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লার আদালতে তাভেলার চালক আবু বকর, সহকর্মী মাহতিন মণ্ডল ও গৃহকর্মী সিসিম আদালতে সাক্ষ্য দেন।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি তাপস কুমার পাল এনটিভি অনলাইনকে জানান, গাড়িচালক জবানবন্দিতে বলেছেন- তাভেলাকে তিনি প্রতিদিন বাসা থেকে অফিসে আনা নেওয়া করতেন। কিন্তু ঘটনার দিনে তিনি তাভেলাকে আনেননি। অন্য ব্যক্তিকে গাড়িতে করে নিয়ে গেছেন।
এ ছাড়া গৃহকর্মী আদালতে কোনো কথা বলেনি। তাকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা কোনো জেরা করেননি।
অপরদিকে তাভেলার সহকর্মী তাভেলার সঙ্গে কী বিষয়ে কাজ করতেন সে সংক্রান্ত জবানবন্দি দিয়েছেন। তিনি আরো জানান, বিচারক আজ সাক্ষ্য শেষে আগামীকাল বুধবার আবার জেরার জন্য নতুন দিন ধার্য করেছেন।
গত বছরের ২৮ জুন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) আদালতে বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার এম এ কাইয়ুমসহ সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক গোলাম রাব্বানী।
অভিযোগপত্রে থাকা অন্য আসামিরা হলেন কাইয়ুমের ভাই আবদুল মতিন, তামজিদ আহমেদ ওরফে রুবেল, রাসেল চৌধুরী, মিনহাজুল আরেফিন ওরফে ভাগ্নে রাসেল, শাখাওয়াত হোসেন ও সোহেল।
আসামিদের মধ্যে তামজিদ, রাসেল চৌধুরী, মিনহাজুল ও শাখাওয়াত আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন।
এ ছাড়া আসামি মতিনসহ স্বীকারোক্তি দেওয়া অন্য আসামিরা কারাগারে আটক। অন্যদিকে কাইয়ুম ও সোহেল পলাতক।
অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, হামলাকারীদের লক্ষ্য ছিল একজন শ্বেতাঙ্গকে হত্যা করে দেশ-বিদেশে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেওয়া। দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে এই পরিকল্পনা করা হয়।
অভিযোগপত্রে আরো বলা হয়, ভাঙারি সোহেলের কাছ থেকে পিস্তল ভাড়া নিয়ে খুনিরা তাভেলা সিজারকে হত্যা করে। মতিনের নির্দেশে ২০১৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর শাখাওয়াতের মোটরসাইকেল নিয়ে মিনহাজুল, তামজিদ ও রাসেল চৌধুরী গুলশান ২-এর ৯০ নম্বর সড়কে যান।
ওই সড়কের গভর্নর হাউসের সীমানাপ্রাচীরের বাইরে ফুটপাতে নিরিবিলি ও অন্ধকার স্থানে তামজিদ গুলি করে তাভেলা সিজারকে (৫১) হত্যা করেন। তাঁকে সহায়তা করেন রাসেল চৌধুরী ও মিনহাজুল।