ফিরে আসা ১৫০ জনের দুজন রোহিঙ্গা
মিয়ানমার থেকে ফিরিয়ে আনা ১৫০ বাংলাদেশির নাম-পরিচয় যাচাই-বাছাইয়ে তাদের জবানবন্দী গ্রহণ করা হয়েছে। পরিচয় যাচাই-বাছাইয়ের পর ১৪৮ জন বাংলাদেশি বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। বাকি দুজন রোহিঙ্গা। আজ মঙ্গলবার সকালে কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের ডরমিটরিতে তাদের নাম-পরিচয় যাচাই-বাছাইয়ের কাজ শুরু হয়।
urgentPhoto
তাদের মধ্যে কক্সবাজার জেলার ২৯ জন, নরসিংদীর ৫৬, ঝিনাইদহের ১২, টাঙ্গাইলের তিন, চট্টগ্রামের আট, চুয়াডাঙ্গার চার, নারায়ণগঞ্জের চার, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছয়, বান্দরবানের নয়, কুমিল্লার এক, চাঁদপুরের এক, রাজবাড়ীর দুই, যশোরের দুই, পাবনার পাঁচ, বাগেরহাটের চার, হবিগঞ্জের এক ও নাটোরের একজন রয়েছেন। বাকি দুজন উখিয়া উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের বাসিন্দা।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আলী হোসেন বলেন, ফিরিয়ে আনা বাংলাদেশিদের বিষয়ে আরো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। কীভাবে তারা মানবপাচারের শিকার হয়, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রত্যেকের জবানবন্দী গ্রহণ করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, ফিরিয়ে আনা বাংলাদেশিদের কেউ কোনো অপরাধে জড়িত ছিল কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ছাড়া প্রত্যেকের এলাকায় প্রশাসনের তদারকি চলছে।
মোহাম্মদ আলী আরো বলেন, তাদের কেউ অপরাধী থাকলে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। আইনি প্রক্রিয়া শেষেই স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান তিনি।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার নাথ বলেন, ‘তাদের কাছ থেকে আমরা কিছু তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করব, যেটা আমাদের তদন্তে সহায়তা করবে। এর পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্রত্যেকের অভিভাবকের কাছে সহজতর উপায়ে আমরা হস্তান্তরের ব্যবস্থা করব।’
গত ২১ মে বঙ্গোপসাগরের মিয়ানমার জলসীমা থেকে ২০৮ জনকে উদ্ধার করে দেশটির নৌবাহিনী। এর মধ্যে ১৫০ জন বাংলাদেশি নিশ্চিত হওয়ায় তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। গতকাল সোমবার মিয়ানমারে পতাকা বৈঠকের মধ্য দিয়ে এদের ফিরিয়ে আনে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। সন্ধ্যায় জেলা পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়।
তবে ফিরিয়ে আনা বাংলাদেশিদের সঙ্গে সংবাদকর্মীদের কথা বলতে দেওয়া হয়নি।