হজযাত্রীদের কোটা বৃদ্ধির অনুরোধ সৌদি আরবের নাকচ
হজযাত্রীদের কোটা বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধ নাকচ করে দিয়েছে সৌদি আরব। আজ মঙ্গলবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘সৌদি আরবের নির্ধারিত কোটা এক লাখ এক হাজার ৭৫৮ জনের অতিরিক্ত ২৫ হাজার হজযাত্রীর কোটা বৃদ্ধির যে সুপারিশ করা হয়েছিল সৌদি সরকার তা নাকচ করে দিয়েছে। ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় কোটা বৃদ্ধির চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, ‘নির্ধারিত কোটার মধ্যে যেসব এজেন্ট যে পরিমাণ হজযাত্রী পাঠানোর জন্য যোগ্য বিবেচিত হয়েছে তাদের আগামী ১৮ জুনের মধ্যে সৌদি আরবে ব্যাংক হিসাব খোলা এবং টাকা জমাদান, বাড়ি ভাড়া চুক্তি সম্পাদন ও সৌদি মোয়াল্লেমদের সাথে চুক্তিসহ যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করার জন্য অনুরোধ জানানো হলো। নির্ধারিত তারিখের মধ্যে উল্লিখিত কাজগুলো সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হলে হজ এজেন্টরা তাদের হজযাত্রীদের প্রেরণে ব্যর্থ হবে বলে প্রতীয়মাণ হয়। এই অবহেলার জন্য সংশ্লিষ্ট হজ এজন্টেদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সৌদি সরকার এক লাখ এক হাজার ৭৫৮ জনের কোটা দিয়েছে। কিন্তু হজ এজেন্টরা এর বাইরে আরো ২৫ হাজার লোকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে নাম নিবন্ধন করেছে। এই ২৫ হাজার জনকে নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে। এই ২৫ হাজার জনকে হজে পাঠানোর যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করতে সরকারের কাছে এজেন্টরা দাবি পেশ করে। হজ করা নিয়ে আশঙ্কায় থাকা ওই ব্যক্তিরাও তাঁদের হজে পাঠানোর উদ্যোগ নিতে সরকারের কাছে দাবি জানান। তার পরিপ্রেক্ষিতেই সরকার সৌদি আরব সরকারের কাছে কোটা বৃদ্ধির অনুরোধ জানিয়ে একটি চিঠি দিয়েছিল। সেই অনুরোধই নাকচ দিয়েছে সৌদি সরকার।