ক্লাসে দুষ্টুমি, ছাত্রদের কিল-ঘুষি, লাথি দিলেন শিক্ষক!
ঝিনাইদহ শিশুকুঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুই শিক্ষার্থীকে কিল-ঘুষি ও লাথি মেরে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আহত শিক্ষার্থীরা হলো লিমন ও আবির। তারা ওই স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। তারা দুজন ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজের কর্মচারী শফিকুল ইসলাম ও আতিকুর রহমানের ছেলে।
শিশুকুঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আলী রেজা বলেন, গত ২২ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ শ্রেণির দুই ছাত্র লিমন ও আবির ক্লাসে দুষ্টুমি করছিল। এ সময় কলেজের যুক্তিবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শফিকুল বাশার তাদের কিল-ঘুষি মারেন। এতে তারা সামান্য আহত হয়।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আরো বলেন, ঘটনার সময় তিনি যশোর ছিলেন। স্কুলে ফিরে ঘটনা জানতে পেরে আহত দুই ছাত্রকে দেখতে তাদের বাড়িতে গিয়েছিলেন। পরদিন বৃহস্পতিবার আহত ছাত্রদের অভিভাবকরা তাঁর কাছে অভিযোগ করেছেন। ঘটনার তদন্তে প্রভাষক শাহাবুদ্দিন আহম্মদকে আহ্বায়ক, প্রভাষক লাইজু আহম্মেদ ও স্কুল শাখার শিক্ষক বিদ্যুৎ কুমারকে সদস্য করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী রোববারের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে স্কুল শাখার শিক্ষক তপন কুমার বলেন, আহত দুই ছাত্র অপর সহপাঠীর নামে নালিশ করায় সহকারী অধ্যাপক শফিকুল বাশার তাদের কিল-ঘুষি ও লাথি মারেন। এতে ওই দুই ছাত্র আহত হয়।
আহত ছাত্র আবিরের বাবা আতিকুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় তাঁর স্ত্রী স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেছেন।
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক প্রভাষক শাহাবুদ্দিন আহম্মদ বলেন, কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আজ সকালে ফোন করে তাঁকে বিষয়টি জানিয়েছেন। আগামীকাল শনিবার স্কুলে যাওয়ার পর ঘটনাটি ভালোভাবে জানা যাবে।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শিক্ষক অধ্যাপক শফিকুল বাশারের মোবাইল ফোন নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে তাঁকে পাওয়া যায়নি।