নোয়াখালীতে স্বর্ণের বারসহ গ্রেপ্তার ৩
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থানার পুলিশ একটি স্বর্ণের বারসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। আজ মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) বিকেলে আসামিদের নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
গতকাল সোমবার চাঁদপুর ও চট্টগ্রামের খুলশী থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন বেগমগঞ্জের ছয়ানী ইউনিয়নের ভবানী জীবনপুর গ্রামের সোহেল (৩৫), তাঁর বোন নুর জাহান বেগম (৪০) ও তাঁর স্বামী মাইন উদ্দিন (৪৯)।
পুলিশ জানায়, সৌদি আরবে দীর্ঘদিন একসঙ্গে থাকায় বেগমগঞ্জের সোহেলের সঙ্গে উজ্জ্বল চৌকিদার ও সুজন চৌকিদারের সুসম্পর্ক গড়ে উঠে। একপর্যায়ে সোহেল ছুটিতে বাংলাদেশে আসার সময় উজ্জ্বল চৌকিদার ও সুজন চৌকিদার তাদের পরিবারের জন্য ২৩ লাখ টাকা মূল্যের ১১৬.৬ গ্রাম ওজনের ২৪ ক্যারেটের একটি স্বর্ণের বার, ১০১ গ্রাম ওজনের ২১ ক্যারেট স্বর্ণের তৈরি অলংকারসহ মোট ২১৭.৬ গ্রাম স্বর্ণ সোহেলের কাছে দেন। কথা ছিল সোহেল দেশে আসার সঙ্গে সঙ্গে স্বর্ণের বার ও স্বর্ণালংকার বন্ধু উজ্জ্বল ও সুজনের পরিবারের কাছে পৌঁছে দেবে। এরপর সোহেল ২৩ ডিসেম্বর সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশে এসে পৌঁছেন। কিন্তু কথা অনুযায়ী স্বর্ণের বার ও স্বর্ণালংকার তার বন্ধুর পরিবারের কাছে পৌঁছে না দিয়ে নিজের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমের সব বন্ধ করে দেন।
পুলিশ আরও জানায়, পরে উজ্জ্বল ও সুজনের পরিবারের লোকজন আসামির ঠিকানা সংগ্রহ কর বাড়িতে গিয়ে স্বর্ণ দাবি করলে আসামি ও তার পরিবার স্বর্ণের কথা অস্বীকার করে। উল্টো তাদের বিভিন্ন হুমকি-ধমকি দেয়। এরপর আসামি এলাকা থেকে গা-ঢাকা দেন। এ ঘটনায় উজ্জ্বলের মামা আবুল কালাম বাদী হয়ে গত ৫ জানুয়ারি বেগমগঞ্জ মডেল থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। এ সময় আসামির বোন ও বোনের স্বামীর হেফাজত থেকে ১১৬.৬ গ্রাম ওজনের ২৪ ক্যারেটের একটি স্বর্ণের বার জব্দ করা হয়।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়।