ছাত্র ও অভিভাবককে মেরে হাসপাতালে পাঠালেন অধ্যক্ষ
ইংরেজি কবিতা লিখতে না পারায় দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রকে পিটিয়ে জখম করেছেন বিদ্যালয়টির অধ্যক্ষ। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় ওই স্কুলছাত্রের দাদাকেও কিল-ঘুষি মেরে নাক-মুখ ফাটিয়ে দিয়েছেন তিনি।
আজ শনিবার সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দৌলাতদিয়াড় অক্সফোর্ড মডেল স্কুলে এ ঘটনা ঘটে। আহত স্কুলছাত্র সাকিবুল হাসান (৮) ও তার দাদা আলতাফ হোসেনকেও (৭২) চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় স্কুলছাত্রের বাবা সদর উপজেলার হাতিকাটা গ্রামের আসলাম উদ্দিন বাদী হয়ে সদর থানায় অভিযোগ করেছেন। ঘটনার পর থেকেই পলাতক আছেন স্কুলের অধ্যক্ষ আনোয়ারুল ইসলাম জান্টু।
স্কুলছাত্র সাকিবুল হাসান এনটিভি অনলাইনকে জানায়, সকালে ইংরেজি ক্লাস চলাকালে অধ্যক্ষ আনোয়ারুল ইসলাম ছাত্রছাত্রীদের ইংরেজি কবিতা লিখতে দেন। সে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে লিখতে না পারায় অধ্যক্ষ স্কেল দিয়ে মেরে তাকে রক্তাক্ত করে।
‘এ ঘটনার প্রতিবাদ জানালে অধ্যক্ষ আমাকে নাকে-মুখে ও মাথায় উপর্যুপরি ঘুষি মেরে রক্তাক্ত জখম করেন। পরে লোকজন আমাকে ও আমার নাতিকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।’ অভিযোগ করেন আলতাফ হোসেন।
সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মাসুদ রানা এনটিভি অনলাইনকে দুজনের চিকিৎসার কথা নিশ্চিত করেছেন।
অধ্যক্ষ আনোয়ারুল ইসলাম জান্টু মারপিটের ব্যাপারে এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘ইংরেজি কবিতা লিখতে বললে সাবিকুল মাত্র তিন লাইন লেখে। তাকে স্কেল নিয়ে শাসালে সে মাথায় আঘাত পায়। আমি নিজেই তাকে চিকিৎসা ও ওষুধ-পথ্য কিনে দিয়েছি।’
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর অধ্যক্ষকে ধরতে উপপরিদর্শক (এসআই) খায়েরের নেতৃত্বে পুলিশ পাঠানো হয়। তবে অভিযুক্ত শিক্ষক আত্মগোপনে চলে যাওয়ায় তাঁকে পাওয়া যায়নি।