পানি কমলেও দুর্ভোগ কমেনি
কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তাসহ সবকটি নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তবে নিম্নাঞ্চল ও রাস্তাঘাট থেকে পানি না সরায় এখনো দুর্ভোগ কমেনি ছয় উপজেলার পানিবন্দি মানুষের।
গত ছয়দিন জলাবদ্ধতার কারণে অনেক পরিবার রান্না করতে না পারায় শুকনো খাবার সংকট দেখা দিয়েছে, পাশাপাশি রয়েছে বিশুদ্ধ খাবার পানির অভাব। এ ছাড়া দেখা দিয়েছে গো-খাদ্যের তীব্র সংকট।
সদর উপজেলার পারবতীপুর চরের দিনমজুর আফজাল হোসেন বলেন, ‘পানি কমছে কিন্তু হাতে কাজ নাই। ঘরে খাবারও নাই। ছয়দিন থেকে বাড়িতে খেয়ে না খেয়ে অসহায় অবস্থায় পড়ে আছি। মেম্বার-চেয়ারম্যান কোনো খবর নেয় না।’
একই উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর বলেন, জলাবদ্ধতার শিকার পরিবারগুলোর জন্য ১০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তা এখনো হাতে পাওয়া যায়নি। হাতে পেলে বিতরণ করা হবে।
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক এ বি এম আজাদ বলেন, পানিবন্দি মানুষের জন্য ৫০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আরো বরাদ্দ চেয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
এদিকে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে ২১ সেন্টিমিটার, নুন খাওয়া পয়েন্টে ২২ সেন্টিমিটার, তিস্তার পানি কাউনিয়া পয়েন্টে ৫৭ সেন্টিমিটার এবং ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে ১১ সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়ে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।