পুরোনো নামেই ফিরছে ইসি
স্বাধীনতার পর থেকে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সংবিধানে প্রদত্ত নাম ব্যবহার করলেও বিগত রকিবউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন কমিশনের সময় যে ‘নাম বিভ্রাট’ তৈরি হয়েছিল তা থেকে বেরিয়ে ফের আগেই নামেই ফিরতে যাচ্ছে সাংবিধানিক এ প্রতিষ্ঠানটি।
নির্বাচন কমিশন সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ এ-সংক্রান্ত সংবিধানের ১১৮ ধারা উল্লেখ করে এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘বাংলাদেশের একটি নির্বাচন কমিশন থাকবে। দেশও একটি, নির্বাচন কমিশনও একটি। এ জন্য বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন হবে।’
“এখন থেকে ‘বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন’ লেখা হবে। আমাদের সব কাগজপত্রে এটাই লিখছি। নাম নিয়ে এখন কোনো ভিন্নমত নেই। নতুন কমিশনও নীতিগতভাবে এটা অনুমোদন করেছে”, যোগ করেন ইসি সচিব।
ইসি সূত্র জানায়, স্বাধীনতার পর থেকেই ‘বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন’ লেখা হতো। রকিবউদ্দীন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার এক বছর পর থেকে কমিশনারদের হাতেই নাম নিয়ে ‘হ-য-ব-র-ল’ অবস্থা তৈরি হয়। তখন ‘নির্বাচন কমিশন, বাংলাদেশ’ লেখা হতে থাকে।
তখন সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, “এটা পরিবর্তন নয়, যেমন আছে তেমনি থাকছে। তবে ‘নির্বাচন কমিশন, বাংলাদেশ’ ব্যাকরণগতভাবে সঠিক বলে তা শুদ্ধ করা হয়েছে।”
সেই সময়ের নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ নিজের ভিজিটিং কার্ডে লিখেছিলেন, ‘ইলেকশন কমিশন ফর বাংলাদেশ’; নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল মোবারক লিখেছিলেন- ‘নির্বাচন কমিশন’; নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আবু হাফিজ ও জাবেদ আলী লিখেছিলেন- ‘বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন’।
আবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের কার্ডে নামের পরেই ‘চিফ ইলেকশন কমিশনার, বাংলাদেশ’ লেখা হয়েছিল।
এর পাশাপাশি গত ২০১৩ সলের জানুয়ারি মাসে প্রকাশিত নবম জাতীয় সংসদের পরিসংখ্যান প্রতিবেদনের প্রথম পৃষ্ঠায় লেখা হয়েছে ‘নির্বাচন কমিশন, বাংলাদেশ’।
এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমানেও গেজেট বিজ্ঞপ্তিসহ ইসি সচিবালয়ের বিভিন্ন চিঠিতে লেখা হচ্ছে ‘নির্বাচন কমিশন, বাংলাদেশ’। আবার স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে কমিশনারদের পুষ্পমাল্য অর্পণের বিজ্ঞপ্তির চিঠিতে লেখা হয়েছে- ‘বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন’।
নামের এসব অসঙ্গতির ব্যাপারে আজ বুধবার ইসি সচিব আবদুল্লাহ বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের নাম নিয়ে আমাদের কিছু ঝামেলা ছিল। কমিশন সচিবালয় এটি গুরুত্বসহকারে দেখেছে। এখন থেকে সবকিছুতে আগের নাম ‘বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন’ লেখা হবে।
তবে কমিশনের ওয়েবসাইটে (www.ecs.gov.bd) পরিচিতিতে বলা হয়েছে ‘বাংলাদশ নির্বাচন কমিশন’। সাবেক নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন ও এম সাখাওয়াত হোসেনের ভিজিটিং কার্ডে তাই লেখা থাকত।