যৌতুকের দাবিতে শেকল দিয়ে বেঁধে গৃহবধূকে নির্যাতন
বরগুনায় জমি বিক্রি করে যৌতুক না দেওয়ায় শেকল দিয়ে বেঁধে শিশু মেয়ের সামনে এক গৃহবধূকে নির্যাতন করেছে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সদর উপজেলার পাজরাভাঙ্গা গ্রামের খলিফাবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে সন্ধ্যার পর ঘটনাস্থল থেকে নির্যাতিত গৃহবধূকে উদ্ধার করে পুলিশ। গৃহবধূর নাম রোকেয়া বেগম (৪৫)। তাঁর স্বামীর নাম মো. মোশারেফ খলিফা (৫০)। মোশারেফ খলিফা ইটভাটার শ্রমিকের কাজ করেন। তিনি থাকেন বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার একটি ইটভাটায়। ঘটনার সময় রোকেয়ার স্বামী মোশারেফ খলিফা ছিলেন কর্মস্থলে।
ভুক্তভোগী রোকেয়া বেগম জানান, দীর্ঘদিন ধরে তাঁর বাবার বাড়ির জমি বিক্রি করে যৌতুক দেওয়ার জন্যে চাপ দিয়ে আসছিলেন তাঁর স্বামী মোশারেফ খলিফা। জমি বিক্রি করতে অস্বীকার করায় তাঁকে বিভিন্ন সময়ে শারীরিক নির্যাতন করতে থাকেন স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। নির্যাতন সইতে না পেরে বৃহস্পতিবার বিকেলে ছোট মেয়ে আফিফাকে নিয়ে বাবার বাড়ি বরগুনার তালতলী উপজেলার পচাকোড়ালিয়া ইউনিয়নের মনসাতলী গ্রামে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। কিন্তু তাঁর দেবর আলতাফ খলিফা (৪০), ভাসুরের ছেলে আল আমিন খলিফা (২৫), ইমরান খলিফা (২৭) ও কবির খলিফা তাঁকে মারধর করে পায়ে শেকল দিয়ে খুঁটির সঙ্গে তালা মেরে রাখেন। খবর পেয়ে তালতলী থেকে তাঁর বাবা মো. আক্কাস তালুকদার ও ভাই ইয়াকুব তালুকদার ছুটে আসেন। তাঁকে উদ্ধার করতে চাইলে তাঁদেরও মারধর করে আহত করেন তাঁরা।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে রোকেয়া বেগমকে উদ্ধার করে বরগুনা থানার পুলিশ। বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাসুদুজ্জামান বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছে তিনি গৃহবধূ রোকেয়া বেগমকে উদ্ধার করেন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত ইমরান খলিফার স্ত্রী আসমা বেগমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।