মিয়ানমার থেকে ফিরলেন আরো ৩৭ বাংলাদেশি
মিয়ানমারের জলসীমায় উদ্ধার হওয়া ২০৮ অভিবাসীর মধ্যে শনাক্ত ৩৭ বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মিয়ানমারের সঙ্গে পতাকা বৈঠকের পর বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে এ ৩৭ জনকে হস্তান্তর করা হয়।
দুপুর ১২টা পাঁচ মিনিটে মিয়ানমারের ঢেকিবনিয়া ক্যাম্প থেকে বাংলাদেশের ঘুমধুম পয়েন্ট দিয়ে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় পতাকা বৈঠক শুরু হয়।
কক্সবাজার বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আনিসুর রহমান জানান, ‘আপনারা জানেন প্রথম পর্যায়ে আমরা ১৫০ জনকে আগেই গ্রহণ করেছিলাম। এটা দ্বিতীয় পর্ব। ২০৮ জন থেকে যে রেস্ট কনস্যুলেট আমাদের ভেরিফাই করে দিয়েছে। সে ভেরিফাইটদের মধ্যে ৩৭ জনকে পাওয়া গেছে যারা বাংলাদেশি। আমরা এ ৩৭ জনকে মিয়ানমারের কাছ থেকে রিসিভ করে নিলাম। এ ৩৭ জন আমাদের সঙ্গে আছে। পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হবে।
মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা এ অভিবাসীদের আইনি প্রক্রিয়ার পর স্বজনদের কাছে ফেরত দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইএমও।
এর আগে বৈঠকে বাংলাদেশের ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন বিজিবি কক্সবাজার ১৭ ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক লে. কর্নেল সাইফুল আলম খোন্দকার। মিয়ানমারের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন মিয়ানমার ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনাল রেজিস্ট্রেশন ডিপার্টমেন্টের সহকারী পরিচালক মং থো। পতাকা বৈঠকে পর্যবেক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজিবির কক্সবাজার সেক্টরের কমান্ডার কর্নেল আনিসুর রহমান।
সম্প্রতি মিয়ানমারে ধরে নিয়ে যাওয়া বিজিবির নায়েক আবদুর রাজ্জাককে দেশে ফেরত দেওয়ার বিষয়েও বৈঠকে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেক্টরের কমান্ডার কর্নেল আনিসুর রহমান।
এর আগে ২১ মে মিয়ানমারের জলসীমায় ভাসমান অবস্থায় ২০৮ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করেন মিয়ানমারের নৌবাহিনীর সদস্যরা। পরে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ উদ্ধার হওয়া ২০৮ জন অভিবাসীর মধ্যে ২০০ জনকেই বাংলাদেশি অভিবাসী বলে দাবি করে আসছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে যাচাই বাছাই শেষে গত ৮ জুন মিয়ানমার অভ্যন্তরের ঢেকিবুনিয়া বিজিপি ক্যাম্পের উভয় দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের উপস্থিতিতে পতাকা বৈঠক শেষে ১৫০ জন বাংলাদেশিকে আনুষ্ঠানিকভাবে ফেরত আনা হয়। বাকি ৫৮ জনের মধ্যে ৩৭ জনকে আবারও যাচাই-বাছাই শেষে বাংলাদেশি শনাক্ত করে তাদের আজ দেশে ফেরত আনা হলো।