অসৎ ব্যবসায়ীদের জন্য বাঘের থাবা : এনবিআর চেয়ারম্যান
যেসব ব্যবসায়ী সৎ মনোভাব নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করেন, তাঁদের প্রণোদনা দিতে প্রস্তুত জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আর যাঁরা অসৎ তাঁদের জন্য রয়েছে বাঘের থাবা।
আজ বৃহস্পতিবার এনবিআর ভবনে পোশাক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনায় এসব কথা বলেন চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান।
এনবিআরের চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা বাজেটের আগে আলোচনা রেখেছি এ জন্য যে যাতে করে ব্যবসায়ীদের সুবিধা নিশ্চিত হয়। আমরা মিলে সুন্দর একটা আয়করবান্ধব পরিবেশ তৈরি করতে পারি।’
আলোচনায় বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘দেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা আরো এগিয়ে যাব। কিন্তু দেশের এই এগিয়ে যাওয়া কারো দ্বারা যদি বাধাগ্রস্ত হয়, সেটা হওয়া উচিত নয়।’
বিজিএমইএর সভাপতি বলেন, ‘নতুন ভ্যাট আইনে এমন কিছু বিষয় আছে যাতে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই সাধারণ মানুষের ক্ষতি হয়, তেমন বিষয়গুলো ভেবেচিন্তে এটা কার্যকর করা উচিত।’
‘পোশাক খাতে বর্তমানে আমরা কিছু সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি। সেগুলো হলো আন্তর্জাতিক বাজারের পোশাকে চাহিদা কমেছে। আমাদের অবকাঠামোগত কিছু সমস্যা আছে। চাহিদামতো জ্বালানি পাই না।’
ব্যবসায়ীদের অডিটের মাধ্যমে হয়রানি বন্ধের আহ্বান জানিয়ে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘প্রতিবছর কারখানার অডিট করা হয়। এতে ব্যবসায়ীরা হয়রানির শিকার হয়। তাই হয়রানি বন্ধ করতে প্রতিবছর অডিট বন্ধ করা উচিত।’
আলোচনায় বিজিএমইএ সভাপতি লিখিত আকারে কিছু দাবি তুলে ধরেন। এর মধ্যে রয়েছে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানিতে ধার্যকৃত ভ্যাট প্রত্যাহার; কারখানা আধুনিকভাবে গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ভ্যাটসহ অন্যান্য সব কর মুক্ত রাখা; রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পের জন্য করপোরেট কর হার ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা; পোশাক খাতে উৎসে কর দশমিক ৭০ শতাংশ থেকে কমিয়ে দশমিক ৫০ শতাংশ করা।
আলোচনায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিতি ছিলেন এনবিআরের সদস্য, বিকেএমইএ, বিটিএমএর প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা।