নব্য জেএমবিকে নিষিদ্ধ করার প্রক্রিয়া চলছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
নব্য জেএমবিকে নিষিদ্ধ করার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। আজ শনিবার সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর আদর্শ মহিলা ডিগ্রি কলেজে সম্মান শ্রেণির ছাত্রীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, পয়লা বৈশাখকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিশেষ সতর্কাবস্থায় রাখা হয়েছে।
আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘নব্য জেএমবি বলেন, যেটাই বলেন, যেটাই সামনে আসবে, আমরা একের পর এক তাদের নিষ্ক্রিয় করব, নিষিদ্ধ করব, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’
সিলেটে সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলার ঘটনায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া হরকাতুল জিহাদ (হুজি) নেতা মুফতি আবদুল হান্নান ও তাঁর দুই সহযোগীর প্রাণভিক্ষার আবেদনের ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মুফতি হান্নানের ফাঁসির বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালতের রায় এসে গেছে। মহামান্য রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্তও এসে গেছে। আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে আমরা এটার ব্যবস্থা নেব।’
সাংবাদিকরা রাষ্ট্রপতির আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কোনো মন্তব্য করেননি।
২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটের হজরত শাহজালালের (রহ.) মাজারে আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা হয়। হামলায় আনোয়ার চৌধুরী, সিলেটের জেলা প্রশাসকসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত এবং পুলিশের দুই কর্মকর্তাসহ তিনজন নিহত হন। ওই মামলায় ২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিচারিক আদালত পাঁচ আসামির মধ্যে মুফতি হান্নান, বিপুল ও রিপনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ এবং মহিবুল্লাহ ও আবু জান্দালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন। এরপর নিয়ম অনুসারে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদন করতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি ২০০৯ সালে আসামিরা জেল আপিলও করেন।
গত বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি বিচারিক আদালত দণ্ড বহাল রেখে রায় ঘোষণা করেন। ওই বছরের ২৮ এপ্রিল হাইকোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়। ১৪ জুন রায় হাতে পাওয়ার পর ১৪ জুলাই আপিল করেন দুই আসামি হান্নান ও বিপুল।
আপিলের শুনানি শেষে গত বছরের ৭ ডিসেম্বর আসামিদের আপিল খারিজ হয়ে যায়। চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি এ রায় প্রকাশের পর আসামিরা রিভিউ আবেদন করেন। ১৯ মার্চ রোববার রিভিউ খারিজ হয়ে যায়। পরে রিভিউ খারিজের রায় গত ২১ মার্চ প্রকাশিত হয়। এরপর কাশিমপুর ও সিলেট কারাগারে রিভিউ আবেদন খারিজের রায় তিন আসামিকে পড়ে শোনানো হয়।
মৃত্যুদণ্ড থেকে বাঁচতে মুফতি আবদুল হান্নান, তাঁর সহযোগী বিপুল ও দেলোয়ার হোসেন রিপন গত ২৭ মার্চ কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে প্রাণভিক্ষা চেয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করেন। মুফতি হান্নান ও বিপুল গাজীপুরে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে এবং রিপন সিলেট জেলা কারাগারে আছেন।