অশ্লীল ভিডিও ছড়ানোর মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান জেল-হাজতে
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/06/22/photo-1434986548.jpg)
গোপনে ধারণ করা অশ্লীল ভিডিও ছড়ানোর মামলায় কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীর মসুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবু বকর সিদ্দিককে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
আজ সোমবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক এ এস রাজিবুল হাসান তা নামঞ্জুর করে তাঁকে জেল-হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আদালত পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আদালত সূত্র জানায়, ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চলতি বছরের ২৪ মার্চ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে সিরাজুল হক প্রধান নামের এক ব্যক্তি কটিয়াদী থানায় একটি মামলা করেন। এ মামলায় গত ২০ এপ্রিল হাইকোর্ট থেকে চার সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন নেন তিনি। জামিনের মেয়াদ শেষে আজ সোমবার কিশোরগঞ্জ আদালতে হাজির হলে তাঁকে জেল-হাজতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
মামলার বিবরণে বলা হয়, ইউপি চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক ইউনিয়ন পরিষদের আইসিটি বিভাগে কর্মরত এক নারীর সঙ্গে বছর দুয়েক আগে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন এবং তা ভিডিওতে ধারণ করেন এবং ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ওই নারীকে জিম্মি করে সম্পর্ক অব্যাহত রাখেন।
কিন্তু একসময় তা এলাকায় বিভিন্ন মানুষের মোবাইল ফোনে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ লোকজন গত ১৫ মার্চ মসুয়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে চেয়ারম্যানের শাস্তি দাবি করে।
চেয়ারম্যানের বিচার দাবি করে এলাকার লোকজন মানববন্ধন, মিছিল-সমাবেশ এমনকি সড়ক অবরোধও করে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও তাঁর অপসারণ ও গ্রেপ্তার দাবি করে।
তবে ইউপি চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক শুরু থেকে তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিলেন। তাঁর দাবি, প্রতিপক্ষের লোকজন ষড়যন্ত্র করে তাঁকে ফাঁসাতে চাইছে।