ভাঙচুর, মারধরের প্রতিবাদে রাঙামাটিতে বাস ধর্মঘট
বাস ভাঙচুর এবং চালক ও তাঁর সহকারীকে মারধরের প্রতিবাদে রাঙামাটিতে বাস ধর্মঘট পালিত হচ্ছে।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কের কুতুকছড়ি এলাকায় একটি বাস আটকে দুর্বৃত্তরা ভাঙচুর ও হামলা চালায়। আজ শনিবার সকাল থেকে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম, রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি-বান্দরবানসহ বিভিন্ন উপজেলার সঙ্গে চলাচলকারী সব সড়কে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছে মানুষ। শহরের বিভিন্ন কাউন্টারে বিপুল যাত্রীকে বাসের জন্য এসে ফিরে যেতে দেখা গেছে।
বাসমালিক ও পরিবহন শ্রমিকদের ডাকে এই ধর্মঘট পালিত হচ্ছে বলে এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন বাসমালিক সমিতির সভাপতি মঈনুদ্দিন সেলিম।
মালিক সমিতির এই নেতা জানিয়েছেন, শুক্রবার বিকেলে খাগড়াছড়ি থেকে রাঙামাটি ফেরার পথে কুতুকছড়িতে ব্যারিকেড দিয়ে বাস থামিয়ে ৩০-৪০ জন যুবক লাঠিসোঁটা নিয়ে একটি বাস ভাঙচুর করে। এ সময় তাঁরা গাড়ির চালক শাহাদাত হোসেন ও সহকারী আরমানকে গুরুতর আহত করে।
হামলাকারীরা যাত্রীদের ওপরও হামলা চালায়। খবর পেয়ে পুলিশ ও পরিবহন নেতারা ঘটনাস্থল থেকে আহত চালক ও সহকারীকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। আহতদের রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মালিক সমিতির সভাপতি এ ঘটনার জন্য পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফকে দায়ী করেছেন।
তবে ইউপিডিএফ নেতা মাইকেল চাকমা বলেছেন, যারা রমেল চাকমাকে হত্যা করেছে তারাই বাস চলাচল বন্ধ করেছে। বাস ভাঙচুরের সঙ্গে ইউপিডিএফ জড়িত নয়। স্থানীয় জনগণ ক্ষুব্ধ হয়ে এই ঘটনা ঘটাতে পারে।
রাঙামাটির কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রশিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, হামলাকারী কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে পুলিশ রাস্তার ব্যারিকেড সরিয়ে ফেলে।