জামিন পেলেও এখনই মুক্তি পাচ্ছেন না ফখরুল
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সব কয়টি মামলায় জামিন পেলেও এখনই তাঁর মুক্তি মিলছে না। আগামী ২৫ জুন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি হওয়া পর্যন্ত মুক্তি মিলবে না। শুনানির পর আদালতের আদেশ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর নির্ভর করছে তিনি মুক্তি পাবেন কি না।
আজ সোমবার ফখরুলের আইনজীবী জয়নুল আবেদীন মেজবাহ এনটিভি অনলাইনকে এ তথ্য জানিয়েছেন।urgentPhoto
গত রোববার রাজধানীর পল্টন থানার তিনটি মামলায় ফখরুলের ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এসব মামলায় কেন তাঁকে স্থায়ী জামিন দেওয়া হবে না, তাও জানতে চান আদালত। ওই জামিন পাওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষ তাঁর জামিন স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। একই সঙ্গে তিনি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করেন।
মির্জা ফখরুলের আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, আগামী ২৫ জুন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির পর আদালত যদি জামিন বহাল না রাখেন, তাহলে তিনি মুক্তি পাবেন না। আর যদি তাঁর জামিন বহাল রাখা হয়, তাহলে সরকার আর কোনো নতুন মামলায় গ্রেপ্তার না দেখালে তিনি মুক্তি পাবেন।
এ ব্যাপারে রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) আনোয়ার কবির বাবুল এনটিভি অনলাইনকে বলেন, যেহেতু বিষয়টি উচ্চ আদালতে শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে, ওই শুনানি না হওয়া পর্যন্ত মির্জা ফখরুল মুক্তি পাচ্ছেন না।
এই পর্যন্ত মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নাশকতার সাতটি মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন।
চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি ককটেল বিস্ফোরণ ও গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে পল্টন থানায় মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে এ মামলাগুলো করা হয়। এরপর ৬ জানুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে বের হওয়ার পর তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আগের দিন থেকে সেখানে অবস্থান করছিলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে বর্তমান সরকারের আমলে হরতাল-অবরোধে নাশকতা ও গাড়িতে আগুন-ভাঙচুরের অপরাধে ৭৮টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ২৫টি মামলায় অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ। বাকি মামলাগুলো এখনো তদন্তাধীন রয়েছে, খালাস পেয়েছেন একটি মানহানির মামলায়।
খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামকে পাগল বলার অভিযোগে করা মানহানির মামলায় মির্জা ফখরুল ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) আদালত হতে বেকসুর খালাস পেয়েছেন। এটিই ছিল তাঁর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে করা প্রথম মামলা।
এ ছাড়া বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের মধ্যে রফিকুল ইসলাম মিয়ার বিরুদ্ধে ৮৩টি, মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে ৫৩, মওদুদ আহমদের বিরুদ্ধে ২৩, শমসের মবিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে ৬ এবং সাদেক হোসেন খোকার বিরুদ্ধে ৩৪টি মামলা হয়েছে।
দলটির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন ও কেন্দ্রীয় বেশির ভাগ নেতার বিরুদ্ধেও নাশকতার মামলা রয়েছে।