ডিবি পরিচয়ে মাদ্রাসাশিক্ষককে তুলে নেওয়ার অভিযোগ
ময়মনসিংহে একটি ইসলামী সংগঠনের নেতা ও মাদ্রাসাশিক্ষক মাওলানা শহীদুল্লাহ সরকারকে পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্য পরিচয়ে তুলে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আজ বুধবার বিকেলে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে ‘ইত্তেফাকুল ওলামা বৃহত্তর মোমেনশাহী’ নামের একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করা হয়।
শহীদুল্লাহ সরকার ইত্তেফাকুল উলামা বৃহত্তর মোমেনশাহীর জেলা শাখার সহসাধারণ সম্পাদক। তিনি ছাওতুল হেরা নামের একটি মাদ্রাসার শিক্ষক। তাঁর বাসা শহরের খাগডহর এলাকায়।
সংবাদ সম্মেলনে শহীদুল্লাহ সরকারের মা জহুরা খাতুন, স্ত্রী শাহনাজ পারভীন, দুই মেয়ে শাম্মী শহীদ তারান্নুম (৯) ও শাহাদিকা শহীদ তাবরিয়া (৬) উপস্থিত ছিল। তারা ছাড়াও ইত্তেফাকুল উলামা বৃহত্তর মোমেনশাহীর জেলা সভাপতি মুফতি মুহিবুল্লাহ, জেলা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মঞ্জুরুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মুশাররফ হোসেন জেহাদি, মুফতি আমীর ইবনে আহমদ, সহ-সাধারণ সম্পাদক মুফতি সাইদুল ইসলাম ও মুফতি জাকির হোসেনসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে ইত্তেফাকুল ওলামা বৃহত্তর মোমেনশাহীর জেলা সভাপতি মুফতি মুহিবুল্লাহ আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শহীদুল্লাহ সরকারকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান। তা না হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার হুমকি দেন তিনি।
লিখিত বক্তব্যে মুহিবুল্লাহ বলেন, গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে ২০ থেকে ২৫ জনের সশস্ত্র একটি দল নিজেদের ডিবি পরিচয় দিয়ে শহীদুল্লাহ সরকারকে শহরের খাগডহরের বাসা থেকে উঠিয়ে নিয়ে যায়। ঘর থেকে বের হওয়ার সময় শহীদুল্লাহর মাকে সকালে ডিবি অফিসে খোঁজ নিতে বলে যায় ওই লোকজন। এর পর আজ দিনভর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ করা হলেও কেউ তাঁর কোনো সন্ধান দিতে পারেনি। খবর পেয়ে ইত্তেফাকুল উলামা বৃহত্তর মোমেনশাহীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা শহীদুল্লাহর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন।
মুহিবুল্লাহ বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁদের জানানো হয়, সশস্ত্র দলটি শহীদুল্লাহ সরকারের বাসার কলাপসিবল গেট ভেঙে ফেলার চেষ্টা করে। এ সময় তিনি নিজেই গেট খুলে দেন। এর পর সশস্ত্র লোকজন ডিবি পরিচয় দিয়ে শহীদুল্লাহ সরকারকে বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে। তাদের সঙ্গে যেতে হবে।
বাসার দারোয়ানের বরাত দিয়ে মুহিবুল্লাহ আরো বলেন, ওই বাসার দারোয়ান তাঁদের জানিয়েছেন, দুটি মাইক্রোবাসে করে ২০ থেকে ২৫ জন লোক বাসার সামনে এসে মোবাইল ফোনে ছবি দেখায়। এ সময় দারোয়ান শহীদুল্লাহ সরকারের বাসাটি চিনিয়ে দেয়। আগত লোকদের সবাই অস্ত্রধারী ছিল এবং অস্ত্রগুলো ছোট।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আজ সন্ধ্যায় ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমারত হোসেন গাজী সাংবাদিকদের বলেন, এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।