পরিবহনে চাঁদাবাজির প্রতিবাদে রাঙামাটিতে ধর্মঘট চলছে
চাঁদাবাজি, ডাকাতি, পরিবহন শ্রমিকদের অপহরণ করে খুন ও মারধরের ঘটনার প্রতিবাদে রাঙামাটিতে সকাল-সন্ধ্যা পরিবহন ধর্মঘট চলছে।
ধর্মঘটের কারণে রাঙামাটি শহর, জেলার ১০টি উপজেলাসহ সব অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এর আগে গত বুধ ও বৃহস্পতিবার রাতে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কে প্রায় ১৫টি গাড়ি আটকে গণডাকাতির ঘটনার পর আজ রোববার থেকে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল রাঙামাটি পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। নেতাদের অভিযোগ, এর পেছনে পাহাড়ের আঞ্চলিক দলগুলোর সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা রয়েছে।
কিন্তু গতকাল শনিবার বিকেলে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সঙ্গে বৈঠকের পর অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট প্রত্যাহার করে শুধু আজকের দিন সকাল-সন্ধ্যা ধর্মঘট পালনের ঘোষণা দেয় সংগঠনটি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাঙামাটি বাস মালিক সমিতির সভাপতি মঈন উদ্দিন সেলিম বলেন, ‘দিনের পর দিন আঞ্চলিক দলগুলোর সশস্ত্র কর্মীদের কাছে জিম্মি হয়ে আছে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা। এর প্রতিবাদে আমরা বিভিন্ন সময় প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছি, কর্মসূচি পালন করেছি। এবারও কর্মসূচি পালন করতে বাধ্য হচ্ছি।’
পরিবহন শ্রমিক-মালিকদের অভিযোগ, পাহাড়ের তিন আঞ্চলিক দল জনসংহতি সমিতি, ইউপিডিএফ এবং জনসংহতি সমিতি (এমএন লারমা) গ্রুপের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের কারণে তাঁদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। তবে দলগুলোর পক্ষ থেকে বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
পরিবহন শ্রমিকরা জেলার বিভিন্ন সড়কে নিরাপত্তা জোরদার, আঞ্চলিক দলগুলোর সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ ও ক্ষতিগ্রস্ত মালিক-শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছেন।