আট মাসের অন্তঃসত্ত্বাকে হত্যার অভিযোগ, স্বামী আটক
রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায় আট মাসের অন্তঃসত্ত্বাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাঁর নাম মাহমুদা আক্তার মুন্নী (২২)।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নিহতের স্বামী সাইফুল আল মামুনকে (৩৫) আটক করেছে পুলিশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে খিলগাঁওয়ের দক্ষিণ গোড়ানের একটি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত মুন্নীর বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলা পৌর এলাকায়। তাঁর বাবা মনিরুল করিম মেয়েকে হত্যার অভিযোগ এনে মামলা করতে যাচ্ছেন। তিনি লক্ষ্মীপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
নিহত মুন্নীর ফুফু জান্নাতুল ফেরদৌস নয়ন এনটিভি অনলাইনকে জানান, সাইফুল আল মামুন একটি পোশাক কারখানায় সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) পদে কর্মরত। দীর্ঘদিন ধরে স্বামীর পরকীয়া নিয়ে মুন্নীর সঙ্গে দ্বন্দ্ব ছিল। গতকাল রাত সাড়ে ১২টার দিকে সাইফুল এসে পোশাক বদলে বের হয়ে যাচ্ছিলেন পরকীয়ায় জড়িত নারীর সঙ্গে দেখা করতে। এ সময় মুন্নী রুটি-হালুয়া খেয়ে যেতে বলেন সাইফুলকে। এ সময় মুন্নীকে মারধর করেন স্বামী।
নিহতদের ফুফু আরো বলেন, রাত ৩টার পর শবে বরাতের নামাজ পড়ে বাসায় ফেরে ছেলে মুসা (৬)। সে তার মায়ের চিৎকার শুনতে পায়। তখন সে বারবার দরজা খুলতে বলে। কিন্তু মুন্নীর স্বামী ঘরে থাকা সত্ত্বেও দরজা খুলে দেননি। তখন মুন্নী নিজেই হামাগুড়ি দিয়ে এসে দরজা খুলে দেন। এরপর স্বামীকে অনেক বলা হলেও তিনি মুন্নীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে রাজি হননি। এরপর ভোরে তাঁর ফুফাত বোন একটি গাড়ি নিয়ে এসে তাকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা জানান, মুন্নি মারা গেছেন।
মুসা ছাড়াও সাইফুল-মুন্নী দম্পতির আরফা (২) নামের আরেকটি সন্তান রয়েছে।
এই বিষয়ে খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মাইনুল ইসলাম জানান, নিহত মুন্নীর স্বামী সাইফুল আল মামুনকে আটক করে থানায় রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে তাঁর বাবা বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করছেন, যা প্রক্রিয়াধীন।
ওসি জানান, নিহতের পিঠে একটি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে মরদেহ রাখা হয়েছে। সেখানে ময়নাতদন্ত করা হবে।